EXCLUSIVE: ভয় দেখিয়ে জোর করে অর্ধনগ্ন ছবি তুলেছিল ওরা: প্রতারিত মডেল

0
711

পলাশ নস্কর, কলকাতা: টানা তিনদিনের লড়াই৷ অবশেষে ক্ষণিক স্বস্তি৷ বিপদের দিনে বড় দাদার মতো পাশে পেয়েছেন উর্দিধারীদের৷ ধরা পড়েছে অপরাধীরা৷ আইনের প্রতি বেড়েছে আস্থা৷ খাস খবরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রতারিত তণ্বী মডেল বললেন, ‘‘এমনটা হবে কখনও কল্পনাও করিনি৷ প্রথমে ঠিকঠাকই শ্যুট করা হচ্ছিল৷ কিন্তু তারপরই সব যেন পাল্টে গেল৷ ভয় দেখিয়ে জোর করে ওরা আমাদের অর্ধনগ্ন ছবি তুলেছিল৷ বিশ্বাস করুন, ওই সিচ্যুয়েশনে আমরা বাধ্য হয়েছিলাম, না হলে হয়তো আরও বড় বিপদ হতে পারত!’’

আরও পড়ুন: কালো ঘোড়ায় চড়ে মোদীকে ৪২০ বললেন মদন

- Advertisement -

বড় মডেল হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বলে এই নয় তো যে নিজের সম্ভ্রম বিকিয়ে দেবেন৷ ফলে মডেল হওয়ার স্বপ্নে বুঁদ হয়ে থাকলেও প্রথমে পোশাক নিয়ে আপত্তিও জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলে তখন তাঁদের আপত্তিকে থোড়াই কেয়ার করে উড়িয়ে দিয়েছিল অভি়যুক্তেরা৷ মডেলের কথায়, ‘‘বাধ্য হয়েই ওদের কথা মতো ছবি তুলেছিলাম৷ বারংবার রিকোয়েস্ট করেছিলাম, দেখুন আমাকে সমাজ নিয়ে চলতে হয়৷ প্লিজ, ছবিগুলো যেন বাইরে কোথাও প্রকাশ না পেয়ে যায়৷’’

আরও পড়ুন: সাবধান, ধেয়ে আসছে চিনের দৈত্য

ক’দিন আগে নেট দুনিয়ার দৌলতেই তরুণীদ্বয় নিজেদের মোবাইলে দেখেন নিজেদের সেই অর্ধনগ্ন ছবি৷ প্রথমে ভেঙে পড়েছিলেন৷ কারণ, চোখের সামনে ঘনিয়ে আসা বিপদে পাশে পাননি কাউকে৷ উলটে শুনতে হয়েছে অনেক কথা৷ উড়ে এসেছিল হুমকিও৷ তবু দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন৷ যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন পুলিশের আধিকারিকেরাও৷

যার নিটফল, মডেল শুটের আশ্বাস দিয়ে পর্ণোগ্রাফি ছবির শুটিং করানোর অপরাধে শ্রীঘরে দুই অভিযুক্ত নন্দিতা দত্ত এবং মৈনাক ঘোষ৷ ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে নিউটাউন পর্ণোগ্রাফি কাণ্ডে মুম্বই যোগের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে ইয়াস ঠাকুরের অ্যাপ নিউফ্লিক্সে নন্দিতা ও মৈণাক লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে পর্ণ ভিডিও বিক্রি করত বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা৷ তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, জট ছাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ শীঘ্রই ধরা পড়বেন বাকি অভিযুক্তেরা৷