Meta, Twitter-এর পর এবার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে এই বড় সংস্থা

0
30
Layoff

খাস ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে বৃহত্তর টেক কোম্পানিগুলির মধ্যে যেন কর্মী ছাঁটাইটের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অফিস যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে বরখাস্ত হওয়ার মেইল পাচ্ছেন কর্মীরা। তো কোথাও আবার কর্মীদের ছাঁটাইয়ের (Layoff) জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে। মাইক্রোসফট এই ক্ষেত্রে সবার আগে ছাঁটাই শুরু করলেও বর্তমানে কর্মী ছাঁটাই সংবাদ শিরোনামে রয়েছে টুইটার এবং মেটা। গত ২৮ অক্টোবর এলন মাস্ক টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই শুরু হয়েছে গণছাঁটাই। অন্যদিকে, চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্ক জুকারবার্গও মেটা থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। গত বুধবার থেকেই ছাঁটাই-এর প্রক্রিয়া শুরু করে দেন তিনি। এই তালিকায় এবার অন্তর্ভুক্ত হল বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন।

আরও পড়ুন- অবৈধ খনি মামলায় কোণঠাসা হেমন্তের ঢাল এখন সংরক্ষণ বিল

- Advertisement -

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ডাউনসাইজিং শুরু করেছে অ্যামাজন। গত সপ্তাহেই কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অ্যামাজনে কর্মরত জেমি ঝ্যাং নামক একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার LinkedIn-এ জানিয়েছেন, কোম্পানির পক্ষ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্দ্যিকে, সংস্থার একজন প্রাক্তন কর্মী পোস্ট করেছেন, পুরো রোবটিক্স টিমটির হাতে পিঙ্ক স্লিপ ধরিয়ে দিয়েছে অ্যামাজন। LinkedIn-এরই তথ্য অনুযায়ী, অ্যামাজনের রোবটিক্স টিমে প্রায় ৩ হাজার ৭৬৬ জন কর্মী নিযুক্ত ছিলেন। তবে তাঁদের মধ্যে থেকে ঠিক কতজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে, খাস খবর তা যাচাই করেনি। অন্যদিকে, একটি মার্কিন সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু কিছু আনপ্রফিটেবল ইউনিটের কর্মীদের কাজ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ফের ইডি দফতরে হাজিরা পরেশ অধিকারীর

কেননা, ওইসব ইউনিটের কাজ খুব শীঘ্রই বন্ধ করতে চলেছে অ্যামাজন। উল্লেখ্য, মন্দার মধ্যে দিয়ে যাওয়ায় কর্মী নিয়োগ বন্ধ করার কথা জানিয়েছিল মেটা। অন্যদিকে, টুইটারেও খরচের অনুপাতে সংস্থাটি লাভ দেখছে না বলে এলন মাস্ক কর্মী ছাঁটাই করছে বলে জানা গিয়েছিল। পাশাপাশি, নিজের মাথার ঋণের বোঝা কমাতে এলন মাস্ক কর্মী ছাঁটাইয়ে নেমেছেন বলেও শুরু হয়েছে জল্পনা। সেইসঙ্গে অ্যামাজনও এবার কর্মী ছাঁটাই করছে বলে খবর। মূলত, টেক কোম্পানিগুলি সম্প্রতি চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলেই অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের ছাঁটাই (Layoff) এবং কর্মী নিয়োগ স্থগিত করে দিচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু এই নিয়ে চরম অনিশয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সংস্থারগুলির কর্মীরা।