খাস খবর ডেস্ক: তালিবান মানেই হিংসা। তালিবান মানেই নির্মম অত্যাচার। “তালিবান” শব্দটা কানে এলে সবার আগে এই দুই শব্দই মাথায় ভিড় করে আসে। কিন্তু এবারে সেই তালিবানদের-ই এক মানবিক দিক ফুটে উঠল।
আরও পড়ুন: জো বাইডেন আসলে মানুষের আকারে একটি পুতুল, বিস্ফোরক এলন মাস্ক
সবচেয়ে বড় কথা, জনৈকা মহিলার প্রতি মানবিক হয়েছে তালিবানরা। হ্যাঁ, বরাবরই নারী প্রগতির বিরোধী তালিবান গোষ্ঠী। দেশের মেয়েদের ওপর জারি করেছে একাধিক অন্যায় নিষেধাজ্ঞা। অথচ সেই তালিবানরাই এবারে এক অবিবাহিত নারীকে সন্তানের জন্ম দিতে সহায়তা করছে।
নিউজিল্যান্ডের শার্লট বেলিস কাতারের সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা’র জন্য কাজ করেন। যিনি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের স্টোরি কভার করছিলেন। সে সময়ই সঙ্গী ফ্রিল্যান্স চিত্রসাংবাদিক জিম হুইলেব্রোক কর্তৃক অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। গত সেপ্টেম্বর নাগাদ এ অবস্থায় তাঁরা কাতারে ফিরে আসেন। কিন্তু সে দেশের আইনে বিয়ে না করে গর্ভবতী হওয়া বেআইনি।
দম্পতিকে তাই বাধ্য হয়ে চলে আসতে হয় বেলজিয়ামে। কিন্তু সেখানেও এক সমস্যা। বাসিন্দা না হওয়ায় দেশটিতে বেশিদিন থাকার অধিকার ছিল না শার্লটের। তিনি নিজের দেশ নিউজিল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা নানাভাবে করতে থাকেন। কিন্তু সেখানে কোভিড বিধি কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। এর ফলে সে রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়।
ঠিক এ সময়ই দম্পতির পাশে এগিয়ে আসে তালিবানরা। শার্লট নিজের পরিচিত তালিবান নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান, “আমরা আপনার জন্য খুবই খুশি। আপনি স্বচ্ছন্দে আফগানিস্তানে চলে আসতে পারেন। এখানে কোনও অসুবিধা হবে না আপনার।”
আরও পড়ুন: ক্যাপিটল হিল ঘটনায় অনুতপ্ত নন, ক্ষমতায় ফিরলে অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন ট্রাম্প
বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক তালিবানদের চোখে মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ। সেই তাঁরাই একজন অবিবাহিতা নারীকে মা হতে সহায়তা করছেন। এ যেন জলজ্যান্ত রূপকথা। এদিকে শার্লটের কাছে তাঁর প্রেগন্যান্সি অলৌকিক। কারণ ডাক্তার বলেছিলেন, তাঁর পক্ষে সন্তানের জন্ম দেওয়া কখনও সম্ভব হবে না। এখন জানা যাচ্ছে, আগামী মে মাস শার্লটের একটি মেয়ে হবে।