ইরাকে ফের রকেট হামলা, মৃত্যু মার্কিন কনট্রাক্টরের

0
137
প্রতীকী ছবি

খাস খবর ডেস্ক: মার্কিন সেনার ঘাঁটি লক্ষ্য করে ফের রকেট হামলা ইরাকে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মার্কিন কনট্রাক্টরের।

জানা গিয়েছে, বুধবার পর পর ১৩টি রকেট আছড়ে পড়েছিল পশ্চিম ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে। বিপুল পরিমাণ মার্কিন বাহিনী আছে এখানে। ঘটনায় সেনা বাহিনীর কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এক মার্কিন কনট্রাক্টরের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

- Advertisement -

প্রসঙ্গত, আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য পশ্চিম ইরাকের এই এয়ার বেসে বিপুল পরিমাণ মার্কিন সেনা বসবাস করে। এছাড়াও যৌথ বাহিনীর আরও বেশ কিছু সেনাও সেখানে আছে। পাশাপাশি রয়েছে ইরাকের সেনা। বুধবার সেই সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করেই পর পর ১৩টি রকেট ছোড়া হয়।

এবিষয়ে মার্কিন সেনার এক মুখপাত্র বলেছেন, “আট কিলোমিটার দূর থেকে রকেট হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। কারা এই কাজ করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রকেট হামলা শুরু হওয়ার পরে এক মার্কিন কনট্রাক্টর প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় খুঁজছিলেন। তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।”

উল্লেখ্য, এর আগে চলতি মাসেই উত্তর ইরাকে মার্কিন দূতাবাস এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল। অ্যামেরিকা তার জবাবে সিরিয়ায় নির্দিষ্ট জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করেছে বলেও পেন্টাগন জানিয়েছে। তবে বুধবারের রকেট হামলা গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা বলে জানা গিয়েছে।

বুধবারের এই ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পেন্টাগন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। এপ্রসঙ্গে বাইডেন বলেছেন, “যারা এ কাজ লাগাতার করে চলেছে, তাদের এবার উত্তর দেওয়া হবে।” পেন্টাগনও বলেছেন, “কারা এ কাজ করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। ইরাকের প্রশাসনের দায়িত্ব আরো তথ্য দেওয়ার। সব তথ্য হাতে এলেই এর জবাব দেওয়া হবে।”

যদিও এবিষয়ে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইরানের মতদপুষ্ট বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী লাগাতার এই কাজ করছে। জেনারেল সুলেইমানির হত্যার পর থেকে তারা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জেনারেলের হত্যার বদলা হিসেবেই এই সব হামলা হচ্ছে বলে তাদের দাবি।

বস্তুত, সুলেইমানির হত্যার পরে ইরান প্রকাশ্যেই জানিয়েছিল যে, বদলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী তাতে অংশ নেবে। সে সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের সঙ্গে কার্যত যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছিল আমেরিকার। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু যে ভাবে গত কয়েকদিনে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।