দক্ষিণ আফ্রিকায় বাড়ছে গোষ্ঠী সংঘর্ষ-লুটপাট, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২

0
40
প্রতীকী ছবি

খাসখবর ডেস্ক: দেশ জুড়ে চলমান গোষ্ঠী সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে। এছাড়াও আহত হয়েছেন অনেকেই। দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার জেলে যাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে গত পাঁচদিন ধরে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এপ্রসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ কর্মকর্তারা এক বিবৃতিকে জানিয়েছে, জোহানেসবার্গসহ বিভিন্ন শহরে গত পাঁচ দিনের বিক্ষোভের জেরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করেছেন দেশের প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও পুলিশ সন্দেহজনক আরও ১২ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। গোষ্ঠী সংঘর্ষ, লুটপাট ও বিক্ষোভের অভিযোগে ইতিমধ্যে এক হাজার ২৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

- Advertisement -
প্রতীকী ছবি

প্রসঙ্গত, আদালত অবমাননার দায়ে গত ৮ জুলাই থেকে জুমার কারাজীবন শুরু হয়। তারপর থেকেই দেশে বিক্ষোভ ও লুটপাটের ঘটনা শুরু হয়েছে। এইভাবে দিনদিন বিক্ষোভ ও লুটপাটের ঘটনা বাড়তে থাকলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, দেশে এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নসিভিওয়ে মাপিসা-নাকাকুলা বলেন, “জরুরি অবস্থা জারি করার মতো অবস্থায় যায়নি দেশ।” অন্যদিকে, এপ্রসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলছেন, “১৯৯০ সালের পর এই সময় সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছে গোটা দেশ। প্রধান শহরের পাশাপাশি একাধিক বাণিজ্য কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে।”

প্রতীকী ছবি

উল্লেখ্য, ক্ষমতায় থাকাকালীন জুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তদন্ত করছিলেন উপপ্রধান বিচারপতি রেমন্ড জোনডো। সেই তদন্তের জন্যই গত ফেব্রুয়ারিতে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির হননি। যদিও এবিষয়ে জ্যাকব জুমার দাবি, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। এরপর সর্বশেষে ৭৯ বছর বয়সী এই নেতা আত্মসমর্পণ করেন।