পিয়ংইয়াং: বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর মধ্যেই শনিবার কমিউনিস্ট দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে দৈত্যকার ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শন করে উত্তর কোরিয়া। বিশ্লেষকদের মতে, দৈত্যাকার হাতিয়ারটি হচ্ছে ‘ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল’ বা আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র। যা আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম।
এদিন কিম জং উনের উপস্থিতিতে কিম ইল সুং স্কোয়ারে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন হাজার হাজার সৈনিক। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কুচকাওয়াজ দেখেন দেশের একনায়ক। সেখানেই একটি বিশাল সামরিক ট্রাকে করে মিসাইলটি প্রদর্শন করা হয়।
মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই অত্যাধুনিক ট্রাক বা মিসাইল লঞ্চার থেকেই আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রটিকে যে কোনও জায়গায় নিয়ে ছোঁড়া যায়। শুধু তাই নয়, অত বড় আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বে আর নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। সেই ক্ষেপণাস্ত্র আমেরিকার যে কোনও স্থানে আঘাত হানতে পারে।
এদিন কিম জং উন সমবেত জনতাকে বলেন, “আমরা আত্মরক্ষার জন্য নিজেদের সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলব।“
এদিকে, আণবিক ক্ষেপণাস্ত্রকে কূটনীতির অমোঘ হাতিয়ার হিসেবে বহুদিন ধরেই ব্যবহার করে আসছেন কিম। উত্তর কোরিয়া যাতে আর পরমাণু অস্ত্র না বানায়, সেজন্য তাদের অনুরোধ করেছিল আমেরিকা। গতবছর হ্যানয়ে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই বৈঠক ব্যর্থ হয়। আমেরিকা তার পরেও কূটনৈতিক পথে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এবার নয়া মিসাইল প্রদর্শন করে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার মঞ্চে নিজের অবস্থান মজবুত করার চেষ্টা করছেন কৌশলি কিম বলেই ধারণা।
