আল-কায়েদা অধিকৃত বিমান সটান ঢুকে পড়েছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে, আজ সেই লজ্জার বিশ বছর

0
78

খাস খবর ডেস্ক: আচ্ছা, আপনাকে যদি একটি ভয়ঙ্করতম তারিখ জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কী বলবেন? হয়তো একটা তালিকাই তৈরী করা যায়। আর এই তালিকার সবার ওপরে থাকবে ৯/১১। মুম্বাইয়ের বুকে ঘটে যাওয়া ২৬/১১ ও এই তালিকায় চলে আসে। কিন্তু ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জঙ্গি হামলা যেন বাকি সব থেকে আলাদা। এ ঘটনা আজও বিশ্ববাসীর মনে রেখা কেটে যায়।

     আরও পড়ুনআগামী বছর হতে পারে ম্যানচেস্টার টেস্ট, জয় শাহের মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা

- Advertisement -

আজই সেই তারিখ। ঠিক ২০ বছর আগে আজকের দিনে আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং পেন্টাগনে পরপর দুটি আত্মঘাতী বিমান হামলা চালায় আল-কায়েদা। সরকারি খবর অনুযায়ী প্রায় ৩০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল। আহতের সংখ্যা ২৫,০০০ -য়েরও কিছু বেশি।

ঘটনার পরপরই স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। হামলার মূল চক্রী হিসেবে যার নাম উঠে এসেছিল, ফেরার হন সেই ওসামা বিন লাদেন। বহু পরে, ২০১১ সাল নাগাদ তাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছিল মার্কিনিরা‌। কিন্তু তাতেও কী পেন্টাগনের ঘা শোকানো সম্ভব?

আরও পড়ুন: অধ্যাপককে দণ্ড দিতে চেয়েছিলেন, রসিক রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে রইল একাধিক কাহিনী

নিরাপত্তার বেড়াজালকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বস্টন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসমুখী পরপর দুই বিমানে উঠে পড়েছিল ৫+৫ মোট ১০ জন জঙ্গি। বেশ কিছুক্ষণ পর ক্রমে ক্রমে জানা যায় যে জঙ্গিরা আমেরিকা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১১ বিমানটি হাইজ্যাক করে নিয়েছে। কিন্তু তখনও তাদের মূল উদ্দেশ্য বোঝা বাকি থেকে গিয়েছিল। ঠিক সকাল ৮:৪৬। জঙ্গীদের দখলীকৃত ফ্লাইট ১১ সরাসরি আঘাত হানে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ৯৩ থেকে ৯৯ তলার মাঝে। মুহূর্তেই মৃত্যু ঘটে উক্ত জঙ্গিসহ বিমানে থাকা সকল যাত্রীর। বাঁচার কথা ছিল না ৯১ তলার উপরে থাকা মানুষগুলোরও।

আরও পড়ুন: বিজেপির পরিবর্তে তৃণমলকে কেন ভোট দেবেন, ত্রিপুরার মানুষকে বোঝাচ্ছেন কাকলী

শোক প্রকাশের সাথে সাথে আল-কায়েদাকে ধিক্কারে ভরিয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্ব। এ যেন শুধু তাদের নয়, সভ্যতার লজ্জা। গোটা মানবজাতির লজ্জা। হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা তখন জর্জ ডব্লিউ বুশ। তিনি ঘটনাটিকে জাতীয় শোক আখ্যা দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই হুড়মুড়িয়ে পড়েছে পেন্টাগনের পশ্চিমাংশ এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ৭১।

বুশের নির্দেশে শুরু হয়েছিল আল-কায়েদা ঘাঁটিগুলির খোঁজ। তারপর নির্বিচারে সেসব ধ্বংস। এরপর সাত সমুদ্র দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। কিন্তু ৯/১১ র ক্ষত আজও রয়ে গিয়েছে একইরকম দগদগে।