Smuggler: নদী চড়ে অবাধে চলছিল বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, গ্রেফতার দশ

0
44

সুদেষ্ণা মণ্ডল, সুন্দরবন: নদী চড়ে অবাধে চলছিল বালি মাফিয়াদের দাপট। প্রতিবাদ করলেই প্রকাশ্যে হুমকি। একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কাজের কাজ হয়নি। এরপরই গোপনে অভিযান চালায় বারুইপুর থানার পুলিশ। অবশেষে আজ বেআইনিভাবে বালি তোলার অভিযোগে ১০জনকে আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ Dowry: বধূকে পুড়িয়ে এক যুগের কারাবাসে যেতে হল স্বামী সহ শ্বশুর শাশুড়িকে

- Advertisement -

ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে অন্যতম আবেগ সুন্দরবন। সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয় কুলতলিকে। আর এই কুলতলির মাতলা নদী বক্ষ থেকে প্রকাশ্যেই দিনরাত চলছে বালি চুরি। বাড়ছিল বালি মাফিয়াদের দাপট। গ্রামবাসীদের দাবি, ঘটনার প্রতিবাদ করলেই হুমকি দিত বালি মাফিয়ারা। বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য রুখতে স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। কখনও কখনও আশ্বাস মিলেছে দেখে নেওয়ার।

একাধিকবার অভিযোগ আসায় অবশেষে বালি মাফিয়াদের দাপট রুখতে নড়েচড়ে বসে বারুইপুর জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার কুলতলীর মাতলা নদীতে নদী থেকে বেআইনিভেবে বালি তোলার অভিযোগে ১০জনকে আটক করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুটি গাড়ি ও একটি নৌকো। ধৃতদেরকে বুধবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।বারাইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু জানান, ‘বেআইনিভাবে নদী পক্ষ থেকে বালি তোলার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসছিল । তাই এই অভিযান চালানো হয়। আগামী দিনেও এইরকম অভিযান চালনো হবে।

আরও পড়ুনঃ Medical negligence: বেডে পেটের যন্ত্রণায় ছটকাচ্ছে রোগী, তবু মোবাইলেই মগ্ন নার্সরা…

উল্লেখ্য, দিনের পর দিন মাতলা নদী বক্ষ থেকে যে বালি চুরি হচ্ছে, তা কেল্লার অম্বিকানগর কাঠখালি, রাস্তার ধারে বড় বড় বালির স্তুপ করে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি এই বালি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পেও কাজে লাগানো হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কুলতলি থেকে সেই বালি ট্রাক-লরিতে করে সরবরাহ হয়। নদী থেকে বালি তোলার কোনও অনুমতি নেই তা সত্ত্বেও সেখানে দিনের পর দিন নদী বক্ষ থেকেই বালি তুলছে একটা চক্র। কুলতলি এলাকার প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন মজুর প্রতিদিন কাজ করেন। তাঁদের কাজ এই বালি তোলাই। প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি নৌকো নদী বক্ষ থেকে তুলে আনে।