লরি কাকুর ভুলে লন্ডভন্ড একরত্তি মেয়েটার জীবনের ভূগোল

0
279

খাস খবর, মালদহ: আর কোনওদিন ভোটের ডিউটি করা হবে না স্কুল শিক্ষক জয়ন্ত বর্মনের৷ আর কোনওদিন স্বামী-সন্তানের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া হবে না শিক্ষিকা তনুশ্রী বর্মনের৷ আর কোনওদিন মায়ের কন্ঠস্বর শুনতে পাবে না জয়ন্ত-তনুশ্রীর সাত বছরের একরত্তি শিশু কন্যা৷

জাতীয় সড়কে নাম না জানা এক লরি কাকুর বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জেরে এক লহমায় বদলে গিয়েছে একরত্তি মেয়েটার জীবনের ভুগোল৷ বাড়ির বিছানার পরিবর্তে আপাতত ঠাঁই মিলেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বেডে৷ অল্পের জন্য তার প্রাণ রক্ষা পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু কচি স্বর এখনও জানেই না, যে সে আর কোনওদিন বাবা, মায়ের সাহচর্য পাবে না৷

- Advertisement -

হাসপাতালের বেডে শুয়ে মেয়ে যখন মা,বাবার জন্য ছটফট করছে তখন মর্গের কফিনে নিশ্চিতের ঘুমে জয়ন্ত-তনুশ্রী৷ স্বভাবতই একরত্তি মেয়েটিকে আগামীদিনে কি করে সামলে উঠবেন তা ভেবে কুল খুঁজে পাচ্ছেন না পরিজনেরা৷ তাঁদের কথায়, ‘‘সকালেও ফোনে কথা হল৷ কে জানতো, বিধাতা ওদের জন্য এরকম লিখে রেখেছে!’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মালদহর ইংরেজবাজার শহরের দিকে যাওয়ার পথে বুলবুলি মোড়ের কাছে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জয়ন্ত বর্মন (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী তনুশ্রীর (৩০)৷ জয়ন্তবাবুর বাড়ি হরিপুর ব্লকের অঞ্চলের চোকসু গ্রামে। তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক৷

পরিবার সূত্রের খবর, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ডিউটি পড়েছে জয়ন্তর৷ তাই সে আজকে ভ্যাকসিন নিতে গিয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুরে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বাইকে করে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন৷ কিছুক্ষণ পরেই চোকসু গ্রামে দুর্ঘটনার খবর এসে পৌঁছায়৷ সকলে দৌড়ে যান হাসপাতালে৷ ততক্ষণে সব শেষ৷ শোকের ছায়ায় নিস্তব্ধ এলাকা৷