শুভেন্দুর খাসতালুকে অনুন্নয়নের কথা শুনে রেগে কাঁই বিধায়ক, সতর্ক করল তৃণমূল

0
186

এগরা: দিদির দূত কর্মসূচিতে গ্রামে গিয়ে অনুন্নয়নের প্রশ্নে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে মেজাজ হারালেন এগরা তৃণমূল বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে৷ এলাকাটি যেহেতু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক, তাই বিষয়টিকে লঘু করে দেখছেন না নেতৃত্বরাও৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে ওই নেতাকে মাথা ঠান্ডা রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ এমনকি পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে৷

শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন এগরা বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল৷ প্রশাসনকে জানালেও কোনও সুরাহা মেলেনি। ফলে এদিন হাতের কাছে বিধায়ককে পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন বাসিন্দারা৷ বিধায়ক কিছু বলতে গেলে গ্রামবাসীরা তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলতে শুরু করেন, বাকি কথা শুনে লাভ কি? আগে বলুন, রাস্তাঘাট কেন হয়নি?

- Advertisement -

বাসিন্দাদের রণংদেহী মুর্তি দেখে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন শাসকদলের বিধায়কও৷ তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বিধায়ক এবং একাংশ গ্রামবাসী৷ এরপরই এগরার তৃণমূল বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ মাইতিকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আলিপুর গ্রামের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বুঝতে পেরে স্থানীয় নেতৃত্বরা বিধায়ক তথা জেলা সভাপতিকে ঘটনাস্থল থেকে বের করে আনেন৷

স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে শাসকদলের অন্দরের কোন্দল৷ যদিও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “কাটমানি খাবেন৷ মানুষের উন্নয়ন করবেন না। আবার গ্রামে এসে দিদির গুনগান করবেন। এসব তো একসঙ্গে চলতে পারে না৷ তৃণমূলের ভাঁওতাবাজি মানুষ বুঝতে পারছে৷ তাই এবার মানুষই সুর চড়াচ্ছে৷ আগামীদিনে এই সুর আরও চড়বে৷’’

আরও পড়ুন: প্রতিদিনই দল ছাড়ছেন কর্মীরা, সাগরদিঘিতে শাসকের ভাঙন আরও দীর্ঘতর