গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা মালদহের নববধূর

0
82

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহ: বিয়ের ১০ দিনের মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী নববধূ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বরুই অঞ্চলের নন্দীবাটি গ্রামে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নববধূর নাম মেহেজাবি খাতুন। মেহেজাবির বাবার নাম বদিরুদ্দিন। এবছর সে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিল। মেহেজাবি বাবা বদিরুদ্দিন নন্দিবাটি গ্রামের বাসিন্দা। মাত্র ১০ দিন আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী ডাঙি গ্রামের বাসিন্দা শেখ মিন্টুর সাথে।

- Advertisement -

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ছ’টায় নিজের বাড়ির রান্নাঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়। বাবার বাড়িতে স্বামীর সাথেই ছিল সেই নববধূ। শনিবার রাতেও তারা একসাথে ঘুমোতে যায়। তারপর এই অবস্থা। পরিবারের দাবি গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও তার পা মাটির সঙ্গে লেগেছিল। সকাল বেলা থেকে আর শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের আর দেখা পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তাঁরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সমগ্র ঘটনাটি নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেহেজাবির বাবা বদিরুদ্দিন। এই ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

মেহেজাবির দাদা জসিমুদ্দিন বললেন, “সকালে শুনতে পাই আমার বোন ফাঁসি নিয়েছে। রান্নাঘরে গিয়ে দেখি ওর গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো রয়েছে কিন্তু পা মাটিতে ঠেকে। আমরা সাথে সাথে পুলিশকে খবর দি। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সবে দশদিন হল বিয়ে হয়েছে। তাই বুঝতে পারছি না ঘটনা কি ঘটেছে। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হোক”।

মেহেজাবির বাবা বদিরুদ্দিন বললেন, “কাল রাতে আমার সামনেই একসাথে ঘুমাতে গিয়েছিল ওরা। আজ সকালে আমার ছোট মেয়ে দেখে ঘর ফাঁকা। তারপর রান্নাঘরে মেহেজাবিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে। জামাইকে আর পাওয়া যায়নি। মাত্র ১০ দিন আগেই বিয়ে হয়েছিল ওদের। জানিনা ওদের মধ্যে কি সমস্যা হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক এর পিছনে কি কারণ রয়েছে।ওর স্বামী দোষী হলে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি”।