অশ্লীলতার ফলাফল: দিঘায় ঘুরতে গিয়ে হাজতবাস সাত পর্যটকের

0
474

দিঘা: অনান্দ যে কখন নিরানন্দে বদলে যায় তা কেউ বলতে পারে না। ছুটি কাটাতে এসে আনন্দটাই মাটি হয়েছে হল হাওড়ায় বেড়াতে আসা সাতজন যুবক পর্যটকের। তবে আনন্দ মাটি হওয়ার পিছনে যদিও দায়ী ওই সাত যুবকই। মজাই পরিণত হয় সাজাতে। মহিলা পর্যটককে উত্যক্ত করার কারণে থানার হাজতে কাটাতে হল বেড়াতে আসা সাতজন পর্যটককে।

জানা গিয়েছে সমুদ্রে স্নান করার সময় হাওড়া সাতজন পর্যটক স্নান করার সময় হুগলি থেকে বেড়াতে আসা মহিলা পর্যটককে ইভটিজিং করে ও অশ্লীল ইঙ্গিত করে ওই সাত যুবক। বারন করা সত্বেও ক্রমাগত উত্যক্ত করার কারণে বাধ্য হয়ে ওই মহিলা পর্যটক দিঘা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বেড়াতে আসা পর্যটকদের গ্রেফতার করে।

- Advertisement -

অভিযুক্তরা হল, অভিযুক্তরা হল মহম্মদ সাব্বির আলম, বিশ্বজিৎ সাহু, শচীন সামন্ত, পিন্টু দাস, সুমন দাস, দেবাশীষ মণ্ডল ও উজাল পোলে। প্রত্যেকেই হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিঘা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। দিঘা থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল বলেন “অভিযোগের ভিত্তিতে সাতজন পর্যটককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কাঁথি আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” অভিযোগকারী হুগলি থেকে বেড়াতে আসা মহিলা পর্যটক বলেন, “নিউ দীঘা হলিডে হোমে স্নানে নেমেছিলেন সপরিবারে। তখনই সাতজন পর্যটক নিয়ে অশ্লীল ইঙ্গিত করেন। পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। প্রথমে বারণ করলেও কোনোমতেই শোনেননি ওই পর্যটকেরা। বাধ্য হয়ে দিঘা থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়।”

জানা গিয়েছে, হাওড়া থেকে একদল পর্যটক সৈকত নগরীর দিঘায় বেড়াতে আসেন। অভিযুক্তরা বেসরকারী হোটেলে ওঠেন। বুধবার বিকেলে সমুদ্র স্নানে নেমে ছিলেন বেড়াতে আসা হাওড়া সাতজন পর্যটক। ঠিক তখনই তাদের কাছাকাছি এক মহিলা পর্যটক সহ তার পরিবারের সদস্যরাও নেমেছিলেন সমুদ্র স্নানে। ঠিক তখন থেকেই মহিলা পর্যটককে উত্যক্ত করতে থাকে সাত যুবক। তবে ওই সাত জনকে আটক করার পর তাদের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।