বাঁকুড়া: মাজারের সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক আতাউর রহমান অভিযুক্ত আকবর মণ্ডল, রসিদ মণ্ডল, উম্মর মণ্ডল, মনসুর মণ্ডল, বাদশা মণ্ডল, শেখ সাবের ও শেখ হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন-নেতার দাদাগিরি, নিরীহের জমি দখলের অভিযোগ
প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল কোতুলপুর থানা এলাকার খিরি গ্রামে খাঞ্জা পাড়ায় একটি মাজারে আক্রমণ চালায় আকবর মণ্ডলের নেতৃত্বে এক দল দুষ্কৃতী। ঐ দুষ্কৃতীদের হাতে মাজারের ক্যাশিয়ার মতিউর রহমান খুন হন। এই ঘটনার পর নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এই খুনের ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক বিন্দেশ্বর গরাই ঘটনার ৮৯ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা করেন।
জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের পর থেকেই আকবর মণ্ডল সহ ২২ অভিযুক্ত জেল হেফাজতেই ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েও তারা জামিন পাননি। এদিন বিচারক তথ্য প্রমাণের অভাবে ১৫ জনকে বেকসুর খালাস ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ শোনার পর মূল অভিযুক্ত মনসুর মণ্ডলের স্ত্রী আফরোজা বিবি জানান, ওই ঘটনার সময় তাঁর স্বামী উপস্থিত ছিলেন না। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে জানাবেন বলে তিনি জানান। পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত আকবর মণ্ডলের নাতি রাজেশ শেখের দাবি ‘রাজনীতির শিকার’ তার দাদু। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে তিনি জানান।
এপ্রসঙ্গে সরকারী আইনজীবি গুরুপদ ভট্টাচার্য ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, “অভিযুক্ত আকবর আলি মণ্ডল সহ ৭ জনকে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৪৮, ১৪৯ ও ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন। একই সঙ্গে ১৪৮ ধারায় এক বছরের জেল ও ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ বিচারক দিয়েছেন,”