আত্নহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে

0
57

বিক্রম কর্মকার, ত্রিপুরা: ভাইজিকে আত্নহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় ত্রিপুরার তৃণমূল নেত্রী পান্না দেবকে। মঙ্গলবার তিনদিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে পুনরায় আদালতে তোলা হয় তাঁকে। আদালত অভিযুক্তকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ‘আংটিতে ওটা কিসের দাগ, রক্তের’ বেহালার জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

- Advertisement -

এই প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ সূত্রধর বলেন, আগরতলা ইন্দ্রনগরের বাসিন্দা রাজশ্রী দেবগত ২ সেপ্টেম্বর আত্মহত্যা করেছিলেন। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধারের সময় একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। আত্নহত্যার জন্য মৃতা রাজশ্রী দেব তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী পান্না দেবকে দায়ী করেছেন। অভিযুক্ত পান্না দেব সম্পর্কে মৃতার পিসি। এর ভিত্তিতে একটি স্বত প্রণোদিত মামলা নেয় পুলিশ। তারপরেই ৫ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় পান্না দেবকে।

আরও পড়ুনঃ করোনার প্রকোপে সিলেবাস বদল আনছে রাজ্য, মত পার্থক্য শিক্ষামহলে

আইনজীবীর কথায়, পুলিশ ওই আত্মহত্যার ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল। প্রাপ্ত সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পান্না দেবকে পুলিশ গত ৫ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে। তাঁকে আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। তার তিনদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার পুনরায় আদালতে তোলা হয় তাঁকে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ এদিন আদালতে পান্না দেবের জেল হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল। আদালত ধৃত পান্না দেবকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।

প্রসঙ্গত, পান্না দেব ইতিপূর্বে কংগ্রেসের কাউন্সিলর ছিলেন। তারপর তিনি গত কয়েকবছরে একাধিকবার দলবদল করেছেন। সম্প্রতি তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ইন্দ্রনগর এলাকায় দাপুটে নেত্রী হিসাবেই তাঁর পরিচিতি। তাঁর গ্রেফতারিতে ত্রিপুরায় তৃণমূল কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।