‘আংটিতে ওটা কিসের দাগ, রক্তের’ বেহালার জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

0
46

কলকাতা: শ্বশুর বলছেন, জামাই আমার মেয়েকে খুনই করতে পারে না৷ কিন্তু পুলিশে তদন্তে উঠে আসছে অন্য তথ্য৷ জামাইয়ের হাতের আংটিতে ওটা কিসের দাগ? ওটা কি রক্ত? নিশ্চিত হওয়ার জন্য আংটিটি পাঠানো হচ্ছে ফরেনসিক তদন্তে৷ এক তদন্তকারী আধিকারিকের কথায়, ‘‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন!’ -উনি আবেগের বশে জামাইকে নির্দোষ ভাবতেই পারেন৷ কিন্তু সরি টু সে, তথ্য প্রমাণ অন্য কথা বলছে! তদন্ত সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’’ বেহালায় মা-ছেলে জোড়া খুনের ঘটনায় এমনই গুচ্ছ গুচ্ছ তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে৷ ফলে ঘটনায় নিহতদের পরিচিতদের কাউকেই সন্দেহের উর্ধে রাখতে নারাজ গোয়েন্দারা৷

আরও পড়ুনঃ করোনার প্রকোপে সিলেবাস বদল আনছে রাজ্য, মত পার্থক্য শিক্ষামহলে

- Advertisement -

সোমবার রাত সওয়া ন’টা নাগাদ এই খুনের ঘটনা সামনে আসে। বেহালা পর্ণশ্রীর সেনপল্লি এলাকার গোপাল মিশ্র রোডের বহুতল ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় মা ও ছেলের রক্তাক্ত দেহ। তারপর থেকেই এলাকায় ছড়ায় চাঞ্চল্য। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। স্বামী তপন মণ্ডলকে আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তাঁর বয়ানে একাধিক অসংগতি পাওয়া গিয়েছে। স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান খুন হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর মধ্যে সেভাবে শোকের ছাপ পড়েনি।

আরও পড়ুনঃ ভ্যাকসিন কুপন বিলিতে স্বজন-পোষণ, ঘুরিয়ে স্বীকার নবান্নের: কড়া পদক্ষেপের বার্তা

ঘটনার দিন প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ফোন বন্ধ ছিল তপনবাবুর। একাধিক ব্যক্তিকে ফোনও করেছিলেন তিনি। এখন প্রশ্ন হল, কেন ফোন বন্ধ রেখেছিলেন? কল লিস্ট চেক করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কিছু অপরিচিত লোকের কাছে তপনবাবুর ফোন এসেছে এবং গেছে। এমনকি তিনি যখন ফোন অন করে সেই সময় কিছু মিসড কল অ্যালার্ট আসে আনকমন নম্বর থেকে। কাদের সঙ্গেই বা তিনি ফোনে কথা বলছিলেন? প্রশ্ন উঠছে দুঘণ্টা যখন ফোন অফ ছিল তখন কার ফোন এসছিল তাঁর ফোনে। সেগুলো ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এদিকে স্ত্রীকে ফোনে না পেয়ে কেন তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফোন করেছিলেন? প্রতিবেশীদের ডেকে আনলেন কেন? যদি বাড়ির লোকের ফোন বন্ধ পায় তাহলে ভেতরে না গিয়ে পাড়ার লোকদের কেন ডাকলেন তিনি। এদিকে আবার তিনি জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটের দরজা ভেজানো ছিল। ধাক্কা দিতেই খুলে যায়। অন্যদিকে,তমজিতের শিক্ষক জানিয়েছেন, দরজা বন্ধ দেখে তিনি ফিরে যান। এখানেই উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।

পাশাপাশি সুস্মিতা ও তমোজিতের ল্যাপটপের হদিশও পাওয়া যায়নি। যে স্মার্টফোন থেকে তমোজিৎ অনলাইন ক্লাসে যোগ দিয়েছিল, সেই ফোনেরও সন্ধান চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার তমজিত অনলাইন ক্লাস করছিল। কিন্তু ক্লাস শেষ হওয়ার আগেই সে অফলাইন হয়ে যায়। সেই সময় ঘরে কেউ ছিল কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে পরিচিত কেউ যুক্ত আছে।