দ্বিতীয় দিনে ইনিংস শুরুর আগেই উতলা লক্ষ্মীদের শান্ত করতে চলে কুপন বিলি

0
75

খাস খবর ডেস্ক: গত ১৬ অগাস্ট থেকে রাজ্যব্যাপী খুলে গেছে লক্ষ্মীর ঝাঁপি। সূচনাকালে লক্ষ্মীর চাকা থমকে যাওয়ায় জেলায় জেলায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রথম ইনিংসে হাল্কা চালে খেলা হলেও দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগেই সকাল থেকে শুরু হয়েছে কুপন বিলি।

এমনই চিত্র ফুটে আমাদের ক্যামেরায়। রাজারহাট বিষ্ণুপুর বটতলা এলাকার ঘটনা। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সাত সকালেই লক্ষ্মীদের শান্ত করতে কুপন বিলি করা হল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্টো পুরান গাইতে শুরু করে স্থানীয়রা।

- Advertisement -

‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে কুপন বিলি করা সত্ত্বেও লক্ষ্মীভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম নেওয়া নিয়ে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশি সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সকাল থেকে আকাশের মুখ ছিল ভার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্ষাকে উপেক্ষা করে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে কর্মসূচি শুরু হয়। একদিকে লক্ষ্মীভাণ্ডার প্রকল্পের কর্মসূচি, অন্যদিকে, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী,কৃষকবন্ধু সহ একাধিক প্রকল্পের পরিষেবা দিতে আলাদা আলাদা কাউন্টার করা হয়।

আরও পড়ুন: বিজেপির শহীদ যাত্রা ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র, গ্রেফতার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ কর্মীসমর্থকেরা

সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা আবেদনকারীদের নথিপত্র যাচাই করে ফর্ম জমা নেন। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলে কর্মসূচি। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে মরিয়া সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক থেকে শুরু করে আমজনতা সকলেই।

উল্লেখ্য, ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প চলবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এবার দেখা অপেক্ষার লক্ষ্মীরা কতটা চঞ্চলা ও উতলা হয়ে ওঠে। আবেদনকারীর জমা দেওয়া নথি যথাযথ হলেই আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলার মেয়েদের হাতখরচ সরাসরি ঢুকবে ব্যাঙ্কে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সাধারণের জন্য ৫০০ টাকা ও তফশীলী জাতি ও অনগ্রসর উপজাতিভুক্ত মহিলাদের ১০০০টাকা হাতখরচ হিসাবে
বরাদ্দ করা হয়েছে।