দুমাস ধরে মেলেনি বেতন, কাজ বন্ধ রেখে পুরসভায় বিক্ষোভ অস্থায়ী কর্মীদের

0
115

কাঁথি: এক বার নয়, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে একাধিকবার বিতর্কে সম্মুখীন হতে হয়েছে কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান। এবার কাঁথি পুরসভায় অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন না দেওয়ার বিক্ষোভ (protest) দেখাল প্রায় শতাধিক অস্থায়ী কর্মীরা। বুধবার সকালে পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্নার ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পুরসভায় অস্থায়ী কর্মচারীরা। পুরপ্রধানের কার্যকলাপে ক্ষিপ্ত অস্থায়ী কর্মীরা। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে একাধিক বিক্ষোভকে (protest) ঘিরে পুরসভা চালানো নিয়ে পুরপ্রধানের একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে? তাহলে কি পুরসভা চালাতে পারছেন না? বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কাঁথি পুরসভায়। অবশেষে পুরপ্রধানের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ তুলে নেয় অস্থায়ী কর্মীরা। এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছঁড়ে দিয়েছে বিজেপি।

আরও পড়ুন- পাচারের আগেই উদ্ধার প্রায় ২৩ কেজির গাঁজা, গ্রেফতার ৫

- Advertisement -

ঘটনার সূত্রপাত, পুরসভার একাধিক অস্থায়ী কর্মীরা প্রায় দুমাস ধরে কোন বেতন পাচ্ছেন না। একাধিক বার বেতন চাইতে এলে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে অস্থায়ী কর্মীরা একজোট হয়ে পুরসভায় পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্নার ঘরের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে একপ্রকার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের পুরসভার কাজে এসেই ফিরে যেতো হয়।

কাঁথি পুরসভা অস্থায়ী মহিলা কর্মী পূর্ণিমা সুর বলেন, “দীর্ঘ দু’মাস ধরে কোন বেতন পাচ্ছি না। কাজ করছি, তবুও বেতন পাচ্ছি না। বাড়ির বাচ্চাদের কোন খেতে দিতে পারছি না। বাচ্চা স্কুলে বেতন দিতে পারছি না।” অপর বিক্ষোভকারী তথা অস্থায়ী কর্মী নন্দিকা দাস বলেন, ” আমাদেরকে কোনও ভাবেই বেতন দিচ্ছে না। আমাদেরকে কি পেটে কোন খিদে নেই নাকি। এই পুরপ্রধান আমাদের স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেছে”।

https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor

কাঁথি পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না বলেন, “কোনও বিক্ষোভ (protest) হয়নি। তারা বেতন চাইতে এসেছিল। আমরা পরে মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি।” এবিষয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনীক জেলার বিজেপি সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “রাজ্য সরকার কোন বেতন দিতে পারছে না। কিন্তু দান খয়রাতি করতে ব্যস্ত। বেতন দিলে সেখান থেকে তো কাঠমানি পাবে না। যেখান থেকে কাটমানি পাবে সেই কাজ করতে ব্যস্ত।”

বস্তুত, কাঁথি পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না প্রায় ৬ মাস ধরে পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এই ছয় মাসের মধ্যে একাধিক বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়েছে পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্নাকে। শুধুমাত্র পুরসভার বেতন সংক্রান্ত নয়, কখনোও টেণ্ডারের অধিকারী ঘনিষ্ঠদের পাইয়ে দোওয়া! আবার কখনো পুরপ্রধান অফিসের মধ্যে কাঁথি সংগঠনীক জেলার তৃনমূলের সভাপতিকে সম্বর্ধনা!