সেতু বিপর্যয়স্থল পরিদর্শনের আগে মোদীকে নিয়ে টুইট যুদ্ধে নেটিজেনরা

0
29
Bridge

আহমেদাবাদ: সেতু (Bridge) বিপর্যয় নিয়ে ভোটের আগে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে গুজরাটের শাসকদল বিজেপি সহ নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর আহতদের হাসপাতালে দেখতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে দুই ধরণের হ্যাশটাগে ছয়লাপ টুইটার। একদল যেখানে “গো-ব্যাক মোদী”-র রব তুলেছে, অন্যদল তখন নরেন্দ্র মোদীর পাশে থাকার আস্বাস দিচ্ছেন। মঙ্গলবার টুইটারে ট্রেন্ড করছে, #Go_Back_Modi এবং #GujaratWithModiJi। দুটি হ্যাশটাগে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে টুইটারে। দুপুর ২.৩০-এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার ৩০০ এবং ২০ হাজারেরও বেশি টুইট হয়েছে #GujaratWithModiJi এবং #Go_Back_Modi-তে। মূলত ভোটমুখী গুজরাটে মোদীর নির্বাচনী প্রচারের আগে টুইটারে উঠেছে ঝড়।

আরও পড়ুন- ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র ৬ বার শিরোপা জিতেছে স্বাগতিক দেশ

- Advertisement -

রবিবার সন্ধ্যায় মরবিতে সেতু বিপর্যয়ের জন্য নির্বাচনী প্রচারের দিন বদল করেছেন নরেন্দ্র মোদী। দুর্ঘটনার পর “গো ব্যাক মোদী” বলে প্রধানমন্ত্রীকে টুইটারে তুলোধোনা করছেন নেটিজেনদের একাংশ। একজন লিখেছেন, “লজ্জা লজ্জা!”সেইসঙ্গে, সার্ক ট্যাঙ্কের ছবিতে মোদী ও অমিত শাহের ছবি ব্যবহার করে লিখেছেন, “ভারতকে বিক্রি করার জন্য এখানে কোনও সার্ক নেই”। অন্যদিকে, নরন্দ্র মোদীর সপক্ষেও উঠেছে টুইটের ঝড়। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, “গুজরাট নমোর সঙ্গে ছিল, আছে, সবসময় থাকবে”। #GujaratWithModiJi হ্যাশটাগ ব্যবহার করে যারা পোস্ট করছেন তাঁদের অধিকাংশই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-এর সদস্য এবং টুইটারে তাঁদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড রয়েছে।

আরও পড়ুন- সুরায় লক্ষ্মীলাভ, দীপাবলিতে ৩ দিনে ১০০ কোটি টাকার মদ বিক্রি

উল্লেখ্য, মোদীর সফরের আগে রাতারাতি হাসপাতালের দেওয়াল রং, পরিকাঠামোর উন্নয়ন এমনকি রোগীদের বিচানায় নয়ুন চাদর পাঠানোর ঘটনায় আগুনে পড়েছে ঘি। এই নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছে শাসকদল বিজেপি। আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস তোপ দেগে বলেছে, আক্রান্তদের চিকিৎসা করার বদলে মোদীর সফরকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বলা বাহুল্য, সেতু (Bridge) বিপর্যয় নিয়ে সোমবার থেকেই নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে নিশানা করে আসছে বিরোধীরা। ব্রিটিশ আমলের ব্রিজটির সংস্করণের দায়িত্ব দেওয়া কোম্পানি নির্বাচন নিয়ে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, সংস্করণের পর ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই ব্রিজটি খুলে দেওয়া নিয়েও তোপ দাগা হয়েছে।