বর্ষাকে Don’t care, ছাতা হাতেই চলছে পাহাড় ভ্রমণ

0
102

নিজস্ব সংবাদদাতা, দার্জিলিং: বর্ষাকাল মানে পাহাড়ে পর্যটকদের আনাগোনা কমে যাওয়া৷ ফলে এই সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয় পর্যটন ব্যবসা৷ তবে এই বছর পরিস্থিতি একেবারেই বিপরীত৷ করোনাকালে প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিল ঘুরতে যাওয়া৷ তাই এখন বর্ষাকে উপেক্ষা করে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ঢল নামতে দেখা গিয়েছে৷

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়ে ছিলেন, বর্ষাকালে পাহাড় বিমুখ হবেন পর্যটকরা৷ এটাই স্বাভাবিক। বর্ষার কারণে পাহাড়ি রাস্তায় ধ্বস প্রবণতা থাকে। তবে সব রকম জল্পনা কল্পনা ব্যর্থ করে পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। লাগাতার দিন তিনেক ধরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে দার্জিলিং, কালিম্পং সহ সিকিমে৷

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার সিকিমের রাস্তায় লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারণে ধস নামে। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা পর্যটকরা পাহাড়ে যাচ্ছেন। দার্জিলিং কালিম্পং সিকিম পর্যটকের ভিড়ে ঠাসা, তিল ধারণের জায়গা নেই। হোটেলগুলি দেদারভাবে বুকিং হচ্ছে। কখনও ছাতা মাথায় করে পাহাড় ভ্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে পর্যটকদের।

আবার কখনও গাড়ি করে বেরিয়ে পড়েছেন তাঁরা। পর্যটকরা জানাচ্ছেন বৃষ্টি মাথায় করে তারা পাহাড় ভ্রমণের আগ্রহী। শুক্রবারও শিলিগুড়ি বাগডোগরা বিমানবন্দর ও নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে প্রচুর পর্যটক দার্জিলিং কালিম্পং সিকিমে এসেছেন। তাঁরা বৃষ্টির মধ্যে পাহাড়ের সৌন্দয্য উপভোগ করছেন৷

পাহাড়ের সৌন্দর্য বর্ষাকালে বেড়ে যায়৷ অবিরাম বৃষ্টির ধারা পাহাড়ের গা দিয়ে যখন নিচে নামে অনাবিল সৌন্দর্য অনুভূত হয়। পাহাড়ের রোমান্টিকতা সমুদ্রকেও হার মানাবে। তাই ভ্রমণপিপাসুরা এই সময় পাহাড়ে যেতে পছন্দ করেন৷ তবে এই সময় পাহাড়ে ঘুরতে গেলে কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। একটু বেশি সময় নিয়ে পাহাড়ে যাওয়া ভালো, কারণ যে কোন সময় রাস্তায় ধস নামতে পারে, এছাড়া প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে হোটেল বন্দি হয়ে থাকার অভিজ্ঞতা হতে পারে।