মোদী তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাঝপথে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলল প্রেসিডেন্সির SFI

0
51
presidency university
প্রতীকী ছবি

কলকাতা : মাঝপথে বন্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিতর্কিত তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’। আজ, শুক্রবার তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের কথা ছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (presidency univercity) । নির্ধারিত সময় ছিল বিকেল ৪ টে। সেইমত শুরু হয়েছিল প্রদর্শনীটি। আচমকা মাঝপথে ছন্দপতন। প্রদর্শনী চলাকালিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। এসএফআইয়ের অভিযোগ, ইচ্ছা করেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন :Punjab ki Katrina Kaif থেকে বলিউডের Shehnaaz Gill, কেমন ছিল সেই যাত্রাপথ

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখানো হয়েছিল বিবিসির ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ তথ্যচিত্রটি। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা দেখানোর কথা ছিল। এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ছাত্রবিরোধিতায় নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে একই জায়গায় রয়েছেন, প্রেসিডেন্সির ঘটনা তারই প্রমাণ। এর আগে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনিতেই জেএনইউ কর্তৃপক্ষ এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি। এই আবহে যেখানে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছিল, সেই ব্লকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এদিকে এভিবিপি সদস্যরা পাথর ছোড়ে বলেও অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুন :বিজেপি নেয়নি, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূলে ‘সক্রিয়’ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা

আরও পড়ুন :উপাচার্যের কথা শুনে এবার হেসেই ফেললেন অমর্ত্য

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনার পূর্বে (presidency univercity) কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসি’‌র তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তুলে নিতে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। আইটি রুলস ২০২১ সালের জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেওয়ার জন্যও কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক নির্দেশ দেয়। বিরোধী দলের নেতারা একে ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন।