”ধীরে ধীরে দেখো, আগে ক্যায়া ক্যায়া হোতা হ্যায়”,  কেন এমন মন্তব্য 

0
30
dharmendra pradhan

কলকাতা: ”ধীরে ধীরে দেখো, আগে ক্যায়া ক্যায়া হোতা হ্যায়”। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে (dakshineswar temple) পুজো শেষে এমনটাই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। কলকাতা এসে এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র। মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে দেখা যায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কলকাতা উত্তর শহরতলী সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সী।

এসেছিলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে (dakshineswar temple) পুজো দিতে। পুজো শেষে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। মন্ত্রীর কথায় উঠে এল রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতি সহ একাধিক দুর্নীতি মামলার প্রসঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষা খাতে যে অর্থ দেয়, বই-খাতা, মাইনে সবেতেই লুকিয়ে আছে গণ্ডগোল। কিন্তু কেন্দ্র সব বিষয় নজর রাখছে। শুধু শিক্ষাখাতে নয় রাস্তা, পানীয় জল, বাসস্থান সবেতেই রয়েছে দুর্নীতি, রাজনীতি। দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এমন কি কয়েকজন মহামান্য আদালতকে ভৎসনা করার পরেও গভীর নিদ্রায় রয়েছে রাজ্য সরকার। বললেন ধর্মেন্দ্র।

- Advertisement -

প্রসঙ্গত হলদিয়ায় একটি শ্রমিক সভা থেকে বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “আমার বলতেও লজ্জা লাগে, বিচারব্যবস্থায় একজন দু’জন এমন আছেন যাঁরা যোগসাজশে কাজ করছেন তল্পিবাহক হিসেবে। কিছু হলেই সিবিআই দিয়ে দিচ্ছে। মার্ডার কেসে স্টে (স্থগিতাদেশ) দিয়ে দিচ্ছে, ভাবতে পারেন! আপনি অভিযুক্তকে নিরাপত্তা দিতে পারেন। কিন্তু মামলায় স্টে দিতে পারেন না!” এই মন্তব্য নিয়েই শোরগোল শুরু হয়। তাঁর ওই বক্তব্য নিয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কৌস্তব বাগচী। স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা রুজু করার আবেদনও জানানো হয়েছিল। পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মন্তব্য নিয়ে হাইকোর্টে যে মামলা হয়েছিল তা খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলা খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ জানায়, এই মুহূর্তে অন্য মামলার গুরুত্ব অনেক বেশি। এই মামলার তেমন গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছে না আদালত।