১৪ মার্চে গণহত্যার দিন গদ্দাররা ঘরে বসেছিল, নাম না করে শুভেন্দু কে আক্রমণ মমতার

0
27
mamata banerjee on the kerala story

মিলন পণ্ডা, খেজুরি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, নন্দীগ্রাম লাগোয়া খেজুরিতে প্রশাসনিক সভা করতে এসে নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের আগুন ঝরা দিনগুলোর বিষয়ে ফের মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আন্দোলনে নিজের অবদানের কথা পূর্ব মেদিনীপুরবাসীকে মনে করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করলেন তিনি।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ নন্দীগ্রামে সূর্যোদয়ের নামে দশদিন কাউকে বেরতে দেওয়া হয়নি। ১৪ মার্চ যখন গুলিতে মারা গিয়েছিল, সেই সময় খেজুরি দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হত না। সেই সময় অন্যরা কিন্তু, যারা বড় বড় কথা বলে, গদ্দাররা সেদিন মাঠে ছিল না। তারা বাড়িতে বসেছিল। লুকিয়ে ছিল। আমি কিন্তু সেদিন আপনাদের জন্য ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। ১৪ মার্চের গুলিকাণ্ডের পর আমি প্রথম ছুটে এসেছিলাম।”

- Advertisement -

খেজুরির ঠাকুরনগরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে স্মরণ করে আরো বলেন, “ চন্ডিপুরে আমার গাড়ি আটকে পেট্রল বোমা মারতে গিয়েছিল। কোলাঘাটে আমার গাড়ি আটকে মদের বোতল ছোড়া হয়েছিল। আমার উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। তাসত্ত্বেও জানবেন, আমি যতদিন বাঁচবো, আমার আন্দোলনকে কেউ রুখতে পারবে না। আমার সংগ্রামী জীবনকে কেউ রুখতে পারবে না। আমি মানুষের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো।”

এদিন নাম না করে রাজ্যের বিরোধীদল নেতাকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ আর যারা আমাদের থেকে সবকিছু খেয়ে গিয়ে সবকিছু নিয়ে গিয়ে আজকে বড় বড় কথা বলছে, আমি তাদের সম্বন্ধে একটি কথাও বলবো না। শুধু বলি ঈশ্বর আল্লাহ তেরে নাম, সবকো সুমতি দে ভগবান।” তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কিছুটা হুঁশিয়ারি ও ভবিষ্যৎবাণীর সুরে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “এর জবাব মানুষ দেবে। তৈরি থাকুন । যারা খেজুরিতে এসে বলছে, ঢুকতে দেব না, মারবো। নন্দীগ্রামের ছেলে মেয়েদের জেলে পাঠিয়েছে, তমলুকের ও খেজুরির ছেলেমেয়েদের জেলে পাঠিয়েছে।”

আরও পড়ুনঃ ‘মুখ্যমন্ত্রী কর্মচারী দরদী, উত্তরপ্রদেশ হলে আন্দোলনকারীদের সাসপেন্ড করে দিত’