রমরমিয়ে চলছে ভেজাল হলুদের কারবার

0
20
fake turmeric powder

মালদহঃ এলাকা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে ভেজাল হলুদের (fake turmeric powder) কারবার। পুজোর মুখে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বহু মানুষের। পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস খাদ্য সুরক্ষা দফতরের। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনা।

রান্নায় হলুদ অপরিহার্য। হলুদ ছাড়া রান্নায় না খোলে রঙ না আসে স্বাদ । আর কিছু না জুটুক রান্নায় নুন-হলুদের মেলবন্ধন থাকা চাই তো চাই। বাজারে, যে কোন মুদিখানায় দেদার বিকোয় হলুদ। কিন্তু এই হলুদ কতটা খাটি। এদিন মালদহে গিয়ে দেখা গেল এক ভয়াবহ ছবি। প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে বহাল তবিয়েতে কারবার চলছে ভেজাল হলুদের। জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ফের মাথা চারা দিয়ে উঠেছে ভেজাল হলুদের কারবার। সঠিক উপায়ে নিয়ম মেনে প্রস্তুত করা হচ্ছে না হলুদ। ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য এবং রং। এলাকারই হাটে,বাজারে এবং বিভিন্ন দোকানে রমরমিয়ে আবার বিক্রি হচ্ছে সেই হলুদ। এমনকি ঢিল ছোরা দূরত্বে বিহারেও পাচার করে দেওয়া হচ্ছে ভেজাল হলুদের। সেই হলুদ কিনছে এলাকার সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ থেকে শুরু করে গরিব, বড়লোক সকলেই। ব্যবহার হচ্ছে রাস্তার ধারে থাকা ছোট খাটো বিভিন্ন খাবারের দোকানে। এদিকে সামনেই পুজো। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়বে আরও হলুদের বিক্রি। আর এর জেরে এলাকার বহু মানুষ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন । উদ্বেগ চিকিৎসক মহলের।

- Advertisement -

ভেজাল হলুদের প্রভাব সুদুর প্রসারী। পেটের অসুখ, লিভারজনিত সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি পর্যন্ত হতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের। এই ভাবে এলাকা জুড়ে রমরমিয়ে ভেজাল হলুদের ব্যবসা চলার পরেও প্রশাসন কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না উঠছে প্রশ্ন? প্রশাসনের চোখের আড়ালে কি ভাবে চলছে এই কারবার? প্রশ্ন তুলছে এলাকার বুদ্ধিজীবী থেকে সাধারণ মানুষেরা। স্থানীয় বাসিন্দা জাকির আলী বলেন, ”দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যবসা চলছে।মাঝে বন্ধ হয়েছিল আবার শুরু হয়েছে।গরিব মধ্যবিত্ত মানুষরা বেশি এই হলুদ কিনছে। চাইব প্রশাসন এই ব্যবসা বন্ধ করুক।” চাঁচল মহকুমার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক ডক্টর রাহুল কুমার মণ্ডল বলেন, এই ধরনের হলুদের ব্যবসার কথা শুনেছি। যেসব জায়গায় অস্বাস্থ্যকরভাবে রাসায়নিক জিনিস মিশিয়ে খাদ্য বা অন্য কিছু প্রস্তুত হচ্ছে আমরা সেখানে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আমরা যৌথ অভিযান চালাব।” হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডক্টর ছোটোন মণ্ডল বলেন, ” কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে শুনেছি এই কারবারের কথা। ভেজাল হলুদ খেলে মানুষের পেটের রোগ লিভারের অসুখ থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এই ব্যবসা বন্ধ হওয়া অবশ্যই উচিত।