শুভেন্দুর খাসতালুকে কুণাল যেন কল্পতরু, ধমক দিলেন নেতাকে

0
161

মিলন পণ্ডা, পাঁশকুড়া: ফের বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে কুণাল ঘোষ৷ তবে মেজাজ হারালেন না৷ বরং বিচক্ষণতার সঙ্গে বাসিন্দাদের ক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে আদায় করে নিলেন তাঁদের আস্থা৷ পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে দলের স্থানীয় নেতাকে ধমকও দিলেন৷ যা দেখে কুণালের নামে জয়োধ্বনিও দিতে দেখা গেল বাসিন্দাদের৷ বুধবার এমনই নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তল্লাট৷

তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশক্রমে এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ায় গোবিন্দনগরের কর্মসূচিতে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিকে মঙ্গলদ্বারী থেকে গোবিন্দনগর পর্যন্ত রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। একাধিক নেতৃত্ব থেকে প্রশাসনকে জানিয়েও রাস্তা মেরামত হয়নি। চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্বভাবতই, কুণালকে কাছে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন বাসিন্দারা। নিজেদের কষ্টের কথা তুলে ধরতে গিয়ে এক জোট হয়ে কার্যত বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।

- Advertisement -

স্থানীয় নেতৃত্বরা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে গেলে তাঁদের থামিয়ে দেন কুণাল। এগিয়ে গিয়ে কথা বলেন। দ্রুত রাস্তা মেরামতি করার আশ্বাস দেন। সেসময় স্থানীয় এক নেতা ঠিকাদারের হয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন৷ ধমক দিয়ে তাঁকে থামিয়ে কুণাল বলে ওঠেন, ‘‘ঠিকাদারের সমস্যা মানুষ শুনে কি করবে? যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই রাস্তাটা তৈরি করুন। আলোচনা যা হয়েছে, গ্রামবাসীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করতে হবে। দ্রুত ওই রাস্তা তৈরি করা হবে৷’’ কুণালের আশ্বাসে মুখে হাসি ফোটে বাসিন্দাদের৷

বস্তুত, শিল্পনগরী হলদিয়ার দুটি গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকে ছিল অন্ধকারে৷ পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বে নিয়ে আসার পর নিজস্ব উদ্যোগে সেই দুটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন কুণাল৷ অর্জন করেছেন স্থানীয় মানুষের আস্থা৷ স্বভাবতই, প্রশ্ন উঠছে হলদিয়ার পর পাঁশকুড়া, কুণাল কি পারবেন বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফোটাতে? আপাতত কুণালের বডি ল্যাঙ্গোয়েজে আশায় বুক বাঁধছেন বাসিন্দারা৷

আরও পড়ুন: শিল্পে জোয়ার আনতে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের, সিলমোহর জমি সংক্রান্ত আইনি সংশোধনে