শিল্পে জোয়ার আনতে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের, সিলমোহর জমি সংক্রান্ত আইনি সংশোধনে

0
45

কলকাতা: এখন থেকে আর ৯৯ বছরের লিজ নয়৷ শিল্পতালুকের জমি অধিগ্রহণ করলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দেওয়া হবে পুরোপুরি মালিকানা৷ শিল্পতালুকে জমি সংক্রান্ত আইন সংশোধনীর প্রস্তাবে বুধবার সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।

রাজ্যের এই পদক্ষেপকে যথেষ্ঠ সাহসী এবং শিল্পায়নের অনুকুল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ৷ একই সঙ্গে সামনে আসছে ভিন্ন মতও৷ অপর অংশের মতে, রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে শিল্পায়নের জন্য বহু জমিকে কিনে ফেলে রাখার নজির রয়েছে শিল্পসংস্থার বিরুদ্ধে৷ তাই তেমন ঘটনাও যাতে না ঘটে, সংশোধনী প্রস্তাবে সেটাও রাখা উচিত৷ তা না হলে শিল্পের জন্য জমি কিনে শিল্প সংস্থা পরে সেই জমি চড়া দামে বিক্রি করে নিজেদের মুনাফা অর্জন করলেও শিল্পায়ন না হলে কর্ম সংস্থানের সমস্যাও মিটবে না৷ ফলে আখেরে চাষির বা এলাকার মানুষের কোনও উপকার হবে না৷

- Advertisement -

যদিও শাসকদলের দাবি, শিল্পায়নের স্বপক্ষে রাজ্য যে ইতিবাচক এই পদক্ষেপ তা আরও একবার প্রমাণ করল৷ এর ফলে আরও বেশি করে শিল্প সংস্থা রাজ্যে বিনিয়োগে উৎসাহী হবেন বলেই তাঁরা মনে করছেন৷ বস্তুত, এর আগে শিল্প সংস্থাগুলির সিলিং-অতিরিক্ত জমি রাখার ব্যাপারে সামান্য হলেও নরম মনোভাব সামনে এনেছিল রাজ্য৷ তবে সরকার নয়, শিল্প সংস্থাগুলিকে সঠিক পদ্ধতি মেনে বাজার দরের হিসেবে চাষির কাছ থেকে সরাসরি জমি ক্রয় করতে হবে৷ এই ক্ষেত্রে রাজ্য নিজে থেকে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না বলেই জানা গিয়েছে৷

বস্তুত, ২০০৬ সালে টাটার ন্যানো শিল্পের জন্য সিঙ্গুরে জোর করে চাষিদের কাছ থেকে জমি কেনার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে৷ পাল্টা হিসেবে সেদিনের বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে সেঁটেছিল শিল্পবিরোধী তকমা৷ মমতার জন্যই টাটারা রাজ্য থেকে চলে গিয়েছিলেন বলে পরে দাবি ওঠে৷ সেই প্রসঙ্গ টেনেই নেটিজেনদের একাংশ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রসঙ্গ টেনে বলছেন, শুরুতে বুদ্ধবাবু পাশে পাননি নিজের দলকেও৷ দেরিতে হলেও বুদ্ধবাবুর দেখানো শিল্পায়নের পথেই এগোতে হচ্ছে পরিবর্তনের সরকারকে৷

আরও পড়ুন: বিজেপি করা কি অপরাধ, প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ, অবরুদ্ধ খেজুরি