খাস প্রতিবেদন, কলকাতা: দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত দু’টি মামলা সরেছে তাঁর এজলাস থেকে৷ যা শুনে কিছুটা মুষড়ে পড়েছিলেন যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের একাংশ৷ এমন আবহে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের নজিরবিহীন নির্দেশ সামনে আনলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ যা চাকরি প্রার্থীদের নতুন করে আশার আলো দেখাবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের৷
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত দু’টি মামলা সরানো হলেও আরও একাধিক মামলা রয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে৷ তারই একটিতে বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘২০১৬ সালের শেষ প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করতে হবে। আদালতকে সে বিষয়ে জানাতেও হবে। রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে প্রার্থীর জেলা, জাতি, শ্রেণি-সহ সমস্ত তথ্য।’’ একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট দিতে হবে।
বস্তুত, সাম্প্রতিক অতীতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হয়েছিল ২০১৬ এবং ২০২১ সালে৷ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে বিস্তর অসঙ্গতি সামনে এসেছে, তা মূলত ২০১৬-য় নেওয়া ইন্টারভিউতেই হয়েছে৷ তাই সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার জন্য যেভাবে পর্ষদকে বিচারপতি ২ সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছেন তা নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ বিচারপতির নির্দেশ মেনে পর্ষদ ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশের পথে হাঁটে নাকি সংশ্লিষ্ট মামলাতেও উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হয়, সেদিকেই নজর রাখছে সব মহল৷
আরও পড়ুন: সহকর্মীকে বিয়ের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার আইটি তরুণী
আরও পড়ুন: ফলে গেল শুভেন্দুর হুমকি, কৃষ্ণর বাড়িতে ইডি, আয়কর হানা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৃণমূলের