দিনমজুরের নামে সীমান্তের গ্রামে মাদকের রমরমা কারবার, মুখে কুলুপ বাসিন্দাদের

0
50

মালদহ: দুর্গম গ্রাম৷ সেই গ্রামে যাওয়ার একমাত্র পদ্ধতি হচ্ছে মোটর বাইক, সাইকেল অথবা তিন চাকার ভ্যান। গ্রামের অধিকাংশই মাটি এবং টালির বাড়ি। আর তারই মাঝে তিনতলার প্রাসাদ দিনমজুর রয়েল শেখের! যার বাড়ি থেকেই রাজ্য পুলিশের এসটিএফ নগদ ভারতীয় অর্থ ৩৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল গত শুক্রবার রাতে।

কালিয়াচক থানার জালুয়াবাধাল গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গা নারায়ণপুর এলাকায় এখন ওই দিনমজুরকে নিয়ে সর্বত্রই চর্চা শুরু হয়েছে। ধৃত রয়েল শেখ কখনও নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন৷ আবার কখনও টাওয়ারের কাজে ভিন রাজ্যে যেতেন। দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা রোজ হিসাবেই ভিন্ন রাজ্যে গিয়ে কাজ করতো সে।  পরিবারের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, বৃদ্ধ বাবা-মা সকলেই রয়েছে। কিন্তু রয়েল শেখ গ্রেফতারের পর থেকেই তালাবন্দি ওই বাড়ি। মুখে কুলুপ এঁটেছে গ্রামের বাসিন্দারাও। বহিরাগত মানুষজনকে বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখলেই গ্রামের মানুষেরা এসে ঘিরে ধরছে। গ্রাম থেকে ঢিল ছাড়া দূরত্ব রয়েছে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত। ফলে অপরাধ জগতের পুলিশের খাতায় ওই গ্রামের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে।

- Advertisement -

পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, একসময় গঙ্গা নারায়ণপুর গ্রামে বোমাবাজি, সংঘর্ষ খুনের ঘটনা হামেশাই ঘটতো। কিন্তু বাম জামানার অবসান হওয়ার পর ধীরে ধীরে সেই গ্রামে অনেকটাই শান্তি ফিরেছে। তবে এই গ্রামের অনেকেই এখনও বড় ধরণের মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত। যার প্রমাণ রয়েল শেখ। যার বাড়ি থেকেই নগদ ৩৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। ভিন্ন রাজ্যে দিনমজুরি কাজের নাম করেই রয়েল শেখ মাদক পাচারের বড় একটি কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেই প্রাথমিক পদ্ধতিতে জানতে পেরেছে পুলিশ এবং গোয়েন্দা দফতরের কর্তারা৷

এসটিএফের দাবি, এই বিপুল পরিমাণে অর্থের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মাদক কারবারের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কালিয়াচক থানার মোজামপুর থেকে হেরোইন সহ রয়েল শেখ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে সিআইডি। এসটিএফ সূত্রে খবর, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েল শেখের। রয়েল শেখের স্ত্রী ফতেমা বিবিকে এই মামলায় মূল অভিযুক্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে শাসকের ধস, হাতছাড়া পুরসভা, পঞ্চায়েতে কি অন্য অঙ্কের ইঙ্গিত