পুরুলিয়া: সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির শুরুতেই হতে পারে এরাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ আদিবাসী ইস্যুতে শাসককে কোনঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধীরা৷ রাষ্ট্রপতিকে কুমন্তব্যের জেরে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির পদত্যাগ চেয়ে সোমবার বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব এনেছে বিজেপি৷ এমন আবহে জঙ্গলমহলে বড় ধাক্কা খেল শাসকদল৷ হাতছাড়া হল পুরসভা৷ পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ঘটনা৷
আস্থা ভোটে তৃণমূলকে হঠিয়ে সোমবার পুরসভার দখল নিল কংগ্রেস৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এঘটনা যেমন শাসকের বিড়ম্বনা বাড়াল তেমনই উজ্জীবিত কংগ্রেস শিবির৷ বস্তুত, ক’দিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বিরোধী জোটের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে সমবায় সমিতি হাতছাড়া হয়েছিল শাসকদল তৃণমূলের৷ তারপর পুরুলিয়ার ঘটনা সামনে আসায় বিরোধী ভোট ক্রমেই এককাট্টা হচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের৷
প্রসঙ্গত, এই সেই ঝালদা পুরসভা। গত পুরভোটের ফল প্রকাশের পরই আততায়ীদের হাতে খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ওই ঘটনায় শাসকের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে৷ উপ নির্বাচনে তপনের ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হন নিহত তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দু। যদিও ১২ সদস্যের পুরসভায একজন নির্দলের সহযোগিতায় দখল করেছিল তৃণমূল৷ সম্প্রতি পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং এক জন নির্দল কাউন্সিলর, মোট ছ’জন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। এরপরই তৃণমূলের পাশ থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। ফলে বদলে যায় পুরবোর্ডের রাজনৈতিক সমীকরণ৷ পরাজয় নিশ্চিত বুঝে এদিন অনাস্থা ভোটে হাজির ছিলেন না শাসকদলের একজনও কাউন্সিলরও৷ ফলে ১২টি আসন বিশিষ্ট পুরসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার নিরিখে পুরবোর্ডের দখল নেয় কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন: ‘কয়লা ভাইপো’র পরিচয় চেয়ে কমিশনের পাল্টা চাপ বাড়াল শুভেন্দু