শাসকদলকে কুপোকাত করতে পঞ্চায়েত ভোটে রাম-বাম আঁতাত, সূত্র বলছে এমনটাই

কার্যত দুই ভোটকে সামনে রেখে এখন থেকে ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির।

0
71
bjp state president j p nadda at panchayet election

কলকাতা : আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে (panchayet election) পাখির চোখ করে রাজ্যে এসেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। পঞ্চায়েত ভোটের অদুরেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। কার্যত দুই ভোটকে সামনে রেখে এখন থেকে ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের শাসকদলকে পরাস্ত করতে নয়া সিদ্ধান্ত মোদী, অমিত শাহর দলের। সূত্র বলছে তৃণমূলকে আটকাতে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে অঘোষিত জোট করতে চলেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন :ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ভূমিকম্পের আঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া তুরস্কের মানুষ

- Advertisement -

আর এই সম্ভবনার কথা আরও বেড়ে যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য থেকে। এদিন দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বর্তমান সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রায় সব জায়গাতেই প্রার্থী দেব। যেখানে প্রার্থী দেব না, সেখানে কেন দেব না সেটা পরে বুঝতে পারবেন।” রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, সুকান্তর এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, যেখানে বামেরা শক্তিশালী সেখানে প্রার্থী দেবে না বিজেপি। অর্থাৎ, পঞ্চায়েত ভোটে দেখা মিলবে রাম-বাম আঁতাতের, একথা প্রায় স্পষ্ট।

আরও পড়ুন :রাজনৈতিক মহলে পরিচিত ‘চুপ্পুভাই’ নামে, বাংলাদেশের নয়া রাষ্ট্রপতি দেশের প্রাক্তন ‘মুক্তিযোদ্ধা’ও বটে 

আরও পড়ুন :মারধর ও হুমকি, তৃণমূল নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ

এদিন জেপি নাড্ডার (J P Nadda) সঙ্গে কোর কমিটির বৈঠকে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিত মালব্য, মঙ্গল পান্ডে, জ্যোতির্ময় মাহাতো মতো কিছু নেতা। ছিলেন না শুভেন্দু, দিলীপ ঘোষেরা। বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে (panchayet election) বিধায়কদের দলত্যাগ থেকে বুথ কমিটি না হওয়া নিয়ে নাড্ডা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল (Suman Kanjilal) । তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে দলের উত্তরীয় পরেন সুমনবাবু । বিজেপি বিধায়কের দলত্যাগের পর গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে টুইট করে তৃণমূল। যেখানে বলা হয়, মানুষের সেবা করার কোনও ইচ্ছা নেই বিজেপির । এই সত্যটা বিজেপির আরও বিধায়ক উপলব্ধি করলেন ।