অনার্সে লাগবে ৭৫ হাজার, ভর্তি ফি নিয়ে ভাইরাল তৃণমূল নেতার অডিও ক্লিপ, অস্বস্তিতে শাসকদল

0
1647

পূর্ব মেদিনীপুর: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক অডিও ফাঁস হয়েছিল যেখানে একদিকে চাপে পড়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যদিকে বিজেপি। এবার শিলিগুড়ি পুরভোটের আগে একই রকমের ঘটনা ঘটলো যাতে বিপাকে পড়েছে শাসকদল।

আরও পড়ুনঃ PM Modi: বাড়ছে ভয়, দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আজ বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী

- Advertisement -

ফের অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুন মাইতি অডিও ভাইরাল। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ুয়াদের ভর্তির জন্য টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন বিধায়ক তরুণ বাবু। সেই অডিও ভাইরাল হতেই রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছেন বিধায়ক। যদিও এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপিও। অডিওতে কোন সত্যতা যাচাই করা হয়নি।

এগরা সারদা-শশীভূষণ কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা এগরার বিধায়ক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তরুণ মাইতি। তাঁর সঙ্গে সারদা-শশীভূষণ কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র শুভদীপ পণ্ডা এবং ছাত্র সংসদের এক সদস্যের সঙ্গে ফোনালাপের জোড়া রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। শুভদীপ পণ্ডার ফোনালাপের যে রেকর্ডটি ছড়িয়েছে তাতে কলেজে ভর্তি হতে গেলে নির্ধারিত ভর্তি-ফি’র বাইরেও কলেজের ছাত্র সংসদকে অতিরিক্ত ৫-৬ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্র। যার পাল্টা যুক্তি দেখাতে গিয়ে তরুণবাবু ওই ছাত্রের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কোনও কলেজ ভর্তির জন্য পয়সা নেয় না। ভর্তি ফি বাদে কাঁথি কলেজ ৪০ হাজার নেয়। রামনগর কলেজ অনার্স দিতে ৭৫ হাজার নেয়।’ ফোনালাপের সেই অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ার পর তরুণবাবুর এমন মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।

স্বাভাবিকভাবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি, বিধায়ক এবং কলেজ গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যকে ঘিরে প্রশ্নের মুখে পড়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এগরা কলেজের ছাত্র সংসদের সদস্য রাহুল প্রধান এ ব্যাপারে কথা বলেন তরুণবাবুর সঙ্গে। বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য দলের ওই ছাত্র নেতাকে চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। ৭ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের সেই ফোনালাপের অডিয়ো রেকর্ডও পরে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। ফলে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েন তরুণবাবু।

এই বিষয়ে তরুণবাবু বলেন, ‘দুটো অডিয়োর কোনওটাই আমার অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট নয়। দুটোই ব্যক্তিগত ফোনালাপ। বিরোধীরা যে অভিযোগ করে থাকেন সেই অভিযোগই করার চেষ্টা করেছিল শুভদীপ পণ্ডা নামের এক ছাত্র। ও বারবার বলেছে, আমি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করিনা। সে কারণে বিরোধীদের অভিযোগের কথা ওই ছাত্রকে বোঝাতে চেয়ে ছিলাম আমি।”