জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে মমতার উল্টোপথে হাঁটলেন কুণাল

0
79

মিলন পণ্ডা, কাঁথি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার কুণাল ঘোষ৷ মুখোমুখি হলেন জয় শ্রীরাম স্লোগানের৷ তবে দিদিমনির স্টাইলে নয়, বরং গান্ধীগিরি পথেই গেরুয়া সমর্থককে কুপোকাত করার কৌশল নিতে দেখা গেল কুণালকে৷ নিজে এগিয়ে গিয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগানধারীর সঙ্গে হাত মেলালেন৷ পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গেরুয়া সমর্থকদের উদ্দেশে বললেন, স্লোগান দিন, ক্ষতি নেই৷ তবে দিদির প্রকল্পগুলির সুবিধা নিতে কিন্তু ভুলবেন না৷ যা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কুণাল এদিন যেভাবে জয় শ্রীরাম স্লোগানকে হ্যান্ডেল করলেন, আগামী দিনে দলনেত্রী কি সেই পথ অনুসরণ করবেন?

হাওড়ায় রেলের সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগানের মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা৷ জুম্বাবারের দুপুরে কুণাল সেই একই স্লোগানের মুখোমুখি হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে৷ পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি বাঁশগোঁড়া এলাকায় একটি খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কুণাল৷ সেখানে কুণালকে দেখে কয়েকজন জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে ওঠেন৷ কুণাল এগিয়ে যেতেই সেই যুবকদের থতমত খেতে দেখা যায়৷ বরাভয় দিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘ভয়ের কি আছে! আসুন না হাত মেলায়!’’ পাল্টা হিসেবে জয় বাংলা স্লোগানও শোনা গিয়েছে৷

- Advertisement -

পরে এই বিষয়ে মঞ্চেবক্তব্য রাখতে গিয়ে কুণাল বলেন, ” এখানে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার সমর্থক যেমন আছে, তেমন অন্য স্লোগান (জয় শ্রীরাম) দেওয়ারও সমর্থক অনেক আছে। দুজনকেই বলব নতুন বছর ভীষণ ভীষণ ভাল কাটুক। যারা যে স্লোগানই দিন, সপরিবারে নতুন বছর ভাল ভাবে কাটুক। মুখে যে স্লোগান দিন, আপনারা কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, দুয়ারে রেশন নিতে ভুলবেন না। সরকারি সব রকমের সুযোগ সুবিধা নিবেন কিন্তু। আমরা সবাই মিলে দিদির সুরক্ষা কবচের আওতায় আসব। জয় বাংলা৷’’

বস্তুত, কুণাল এদিন যেভাবে ঠাণ্ডা মাথায় জয় শ্রীরাম স্লোগানকে সামলালেন মমতা কেন সেই পথে হাঁটেন না, সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে দলেরই নীচু তলার কর্মী সমর্থকেরা৷ তাঁরা বলছেন, মিষ্টভাষাতেও যে রুখে দাঁড়ানো যায়, কুণাল ঘোষ এদিন সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন৷ স্বভাবতই. দিদি কি কুণালের দেখানো  পথ অনুসরণ করবেন? নয়া জল্পনায় ফুটছে রাজ্য রাজনীতি৷

আরও পড়ুন: ফিরহাদের অনুপ্রেরণায় মমতার সরকারকে ‘চপ-চোলাই’ আখ্যা বিজেপির