স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও মেলেনি চিকিৎসা, মৃত্যু রোগীর

0
25

দুর্গাপুর: সঙ্গে রয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। তবুও মেলেনি চিকিৎসা। ৫ হাসপাতাল ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি। একদিকে স্বাস্থ্যসাথীর কথা শুনে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি, অন্যদিকে পরিকাঠামোর অভাব। একের পর এক বেসরকারি হাসপাতালের দরজা বন্ধ। প্রায় চোদ্দ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় থাকার পর মৃত্যু রোগীর। এই ঘটনায় ব্যাপক ছড়াল দুর্গাপুরের জব্বর পল্লীতে। ফের প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা।

 

- Advertisement -

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলকে কটাক্ষ, কাঁথিতে সভায় জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন Suvendu

জানা যায়, শনিবার দুপুরে বাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন নির্মল মণ্ডল (৬২)। পেশায় ব্যবসায়ী। দুর্গাপুরের আশীষ নগরে একটি ঘড়ির দোকান রয়েছে তাঁর। দুপুরে দোকান বন্ধ করে যখন জব্বরপোল্লিতে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ঠিক তখন একটি মোটর বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে নির্মলবাবুকে। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহুকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে কলেজে। পরিকাঠামোর অভাবে তাঁকে পাঠানো হয় বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখেই রোগীকে অন্যত্র রেফার করে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে দুর্গাপুরে নিয়ে এসে একের পর এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে যায়। কিন্তু কোথাও ভর্তি নেয়নি তাঁকে।

আরও পড়ুনঃ পায়ে পায়ে দুই বছর পূর্ণ করল যাদবপুর শ্রমজীবী ক্যান্টিন 

অবশেষে চিকিৎসার অভাবে রবিবার সকাল আটটা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকার কারণে বেড মেলেনি হাসপাতালের। এদিকে, বৃদ্ধার মৃত্যুর পরই ক্ষেপে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন মৃতদেহ রাস্তায় রেখেই পথ অবরোধ শুরু করে। পরে পুলিশ এসে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।