বারাকপুরে দুষ্কৃতীরাজ, পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুললেন অর্জুন সিংহ

0
46

খাস প্রতিবেদন: পুলিশের নিন্দায় এবার সরব বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। বুধবার ভর সন্ধ্যেয় বারাকপুরের জনবহুল এলাকায় শুটআউটের ঘটনায় এখনও অধরা দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার নিহতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে এসে এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়েই বড় প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের নেতা, সাংসদ অর্জুন৷ তাঁর কথায়, ‘‘এই নিয়ে একমাসে এলাকায় দুটো খুনের ঘটনা ঘটে গেল। ৬ থেকে ৮ কিমি দূরে থেকেও আমরা খবর পেয়ে যাচ্ছি, অথচ কাছেই থানা, তবু পুলিশ খবর পাচ্ছে না৷ কেন পাচ্ছে না , সেটা বলতে পারব না৷ তবে এটা আমাদের জন্য কলঙ্কের৷ পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে৷ ’’

আরও পড়ুন: পয়সা পেলে সৌরভ সব করেন! কি বললেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ

- Advertisement -

বস্তুত, কোনও রাখ ঢাক না রেখেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারাকপুরের সাংসদের প্রশ্ন, ‘‘কোথাও হয়তো নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের আঁতাঁত থাকছে৷ না হলে বারে বারে এণন ঘটনা কেন ঘটবে?’’ খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন নিজেই, ‘‘পুলিশ তো ফিল্টার। পুলিশকে ফিল্টার করে দেখতে হবে। কেন ফিল্টার না করে কাজ করবে পুলিশেরা?” দাবি করেছেন, ‘‘ভর সন্ধ্যেয় দোকানে ডাকাতি করতে সাহস লাগে৷ অপরাধীদের এই সাহসটাকে শেষ করতে হবে৷ তা না হলে সাধারণ মানুষ বাঁচতে পারবে না৷ তাই এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে৷ অপরাধীদের জেলে ভরতে হবে। নইলে এই ধরনের ঘটনা থামানো যাবে না৷’’

আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীতে হিট জুটি শাশুড়ি-জামাই’য়ের ক্ষীরের মূর্তি

বুধবার পড়ন্ত বিকেলে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে বারাকপুরের ১৪ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন ওল্ড ক্যালকাটা রোডের একটি সোনা দোকানে৷ দোকানে ছিলেন মালিক নীলরতন সিনহা, তাঁর ছেলে নীলাদ্রি এবং অন্যান্য কর্মচারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, সন্ধে ৬টা নাগাদ দু’টি বাইকে চারজন দোকানে ঢোকে। মাস্কে ঢাকা ছিল তাদের মুখ৷ সেই সময় দোকানে অন্য কোনও ক্রেতা ছিল না৷ ক্রেতা সেজে সোনা দেখতে চেয়ে আচমকা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সোনার গয়না দিয়ে দিতে বলে দুষ্কৃতীরা৷ মালিকের ছেলে নীলাদ্রি বাধা দিতে গেলে তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা৷ ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মালিক নীলরতন গুলিবিদ্ধ হন৷ তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় নিরাপত্তারক্ষী দিলীপ সাহাও৷ বস্তুত, ঘটনার পর প্রায় ২০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত৷ পুলিশ এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে জনমানসে৷ এবার সরব হলেন স্থানীয় সাংসদও৷

আরও পড়ুন: পিএম রিপোর্ট আসার আগেই পুলিশের দাবি, আত্মঘাতী ঘটনা! হাঁসখালি কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি