‘গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে ভয়ংকর অবস্থা , বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হতে চাইছে না ছাত্রছাত্রীরা’

0
159

খাস প্রতিবেদন: আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে, উচ্চ মাধ্যমিকের এবারের ফলাফল বেশ ভাল৷ শতকরা পাশের হারও গতবারের তুলনায় সামান্য বেশি৷ গতবারে সার্বিক পাশের হার ছিল ৮৮.৪৪ শতাংশ৷ এবারে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.২৫ শতাংশ৷ কিন্তু সত্যি কি তাই?

আরও পড়ুন: বারাকপুরে দুষ্কৃতীরাজ, পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুললেন অর্জুন সিংহ

- Advertisement -

অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস্ অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস্ এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলছেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকের সার্বিক ফল ম্লান। খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, বিজ্ঞান বিভাগে নম্বর ক্রমাগত নিম্নগামী। গভীর ভাবে ভাবতে হবে। সমস্ত দিক নিয়েই চিন্তা ভাবনা করা দরকার।’’

আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীতে হিট জুটি শাশুড়ি-জামাই’য়ের ক্ষীরের মূর্তি

চন্দনবাবুর কথায়, গতবারে প্রথমে দশে ঠাঁয় পেয়েছিল ২৭২ জন পড়ুয়া৷ এবারে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৭৷ গতবারে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর প্রাপ্ত পড়ুয়ার সংখ্যাটা ছিল ৪৭ হাজার ২০৩ জন৷ এবারে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭ হাজার ৯৫৮ জনে৷ একইভাবে গতবারে ৮০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছিল ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯২৯ জন৷ এবারে সাকুল্যে সেই সংখ্যাটা ৫২ হাজার ৮৫৮ জন৷ কেন এমন অবনতি? চন্দনবাবুর পর্যবেক্ষণ, ‘‘বহু বছর ধরে গ্রাম বাংলায় হাজার হাজার বিষয় শিক্ষক-শিক্ষিকা পদ শূন্য। যাঁরা আছেন তাঁদের অনেকেই অবসর নিচ্ছেন। উৎসশ্রী প্রকল্পে হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা গ্রাম থেকে শহর মুখী হয়েছেন অবাধে, অবলীলায়। ফলে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে ভয়ংকর অবস্থা দাঁড়িয়েছে। বিষয় শিক্ষক না থাকায় বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হতে চাইছে না ছাত্রছাত্রীরা।’’

আরও পড়ুন: পয়সা পেলে সৌরভ সব করেন! কি বললেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ

উদ্বেগের সুরে বলছেন, ‘‘এই অবস্থা চলতে থাকলে, বিজ্ঞানমুখী চিন্তা ভাবনা না থাকলে, শিক্ষার অন্তর্জলী যাত্রা অব্যাহত থাকবে। কয়েক জনের মেধা তালিকার প্রকাশ, শিক্ষার সার্বিক চিত্রকে তুলে ধরে না।’’

আরও পড়ুন: অভিষেকের জেলা সফরের পরই জঙ্গলমহলে তৃণমূলে ধস!