অনুব্রতর কোটি টাকা লটারি প্রাপ্তির দোকানে CBI হানা

0
25

বোলপুর: দুদিন আগেই বোলপুরের লটারি এজেন্টকে নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই (CBI)৷ শুক্রবার বীরভূমের বোলপুরের সেই লটারির দোকানে গেলেন সিবিআই৷ কথা বললেন কর্মীদের সঙ্গে৷ এরপরই ওই দোকানের কর্মীদের বোলপুরের ক্যাম্প অফিসে ডেকে পাঠায় তদন্তকারী আধিকারিকরা৷

সূত্রের খবর, ২০২১ সালে অনুব্রত মণ্ডলের লটারিতে জিতে ১ কোটি টাকা পেয়েছিলেন৷ গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতারের পর এই তথ্যতে জোড় দেয় সিবিআই৷ শুরু করে তদন্ত৷ বুধবার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় লটারির এজেন্টকে৷ এরপর শুক্রবার দুপুরে বোলপুরের লটারি দোকানে হাজির হন সিবিআই-এর আধিকারিকরা৷

- Advertisement -

সিবিআই সূত্রে খবর, দোকানের কর্মীদের থেকে অনুব্রত মণ্ডলের লটারির পুরস্কার সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়৷ দোকানের কর্মীরা জানান, দেখে বলতে হবে৷ এরপরই দোকানের কর্মীদের নথি নিয়ে শুক্রবার বোলপুরের ক্যাম্প অফিসে আসতে বলেন আধিকারিকরা৷

সিবিআই সূত্রে দাবি, কেষ্টা যে লটারির টিকিট কেটে এক কোটি টাকা জিতেছিল তা বোলপুরের ওই দোকান থেকেই বিক্রি করা হয়েছিল৷ অনুব্রত নিজে এসে লটারির টিকিট কিনেছিলেন, নাকি অন্য কেউ কেটে ছিলেন৷ তা নিয়ে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় লটারি এজেন্সির মালিককে৷

উল্লেখ্য, চলতি বছরে লটারির ফলাফল প্রকাশের পর চোখ কপালে ওঠে বীরভূমবাসীর৷ সেখানে দেখা যায়, অনুব্রত মণ্ডল জিতেছেন ১ কোটি টাকা৷ নাম তো বটেই মিলে গিয়েছিল ছবিও৷ সাধারণ মানুষ য়াঁরা লটারি কাটেন তাঁরা অফিসাইল ওয়েবসাইটের উপরেই নির্ভর করে থাকেন৷ ফলে অনুব্রত মণ্ডল লটারি পেয়েছেন এমন খবরে শোরগোল শুরু হয়ে যায়।

এরপর কেটে যায় কয়েক মাস৷ গোরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে৷ এরপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে নেমে তাঁর ও মেয়ে সুকন্যার নামে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি পায়৷ তার ভিত্তিতেই উঠে আসে লটারির প্রসঙ্গ৷ তাই লটারি এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷