রবি ঠাকুরের বাবার হাতে চালু হওয়া পৌষ মেলা তবে কি পাকাপাকি বন্ধ হতে চলেছে

সেটা ১৮৯৫ সাল৷ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে ৭ পৌষ চালু হয়েছিল পৌষ মেলা (Paush Mela)৷ চারদিনের মেলায় প্রথম বছরের বাজেট ছিল ১৭৩২ টাকা ১০ আনা!

0
108

বোলপুর: সেটা ১৮৯৫ সাল৷ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে ৭ পৌষ চালু হয়েছিল পৌষ মেলা (Paush Mela)৷ চারদিনের মেলায় প্রথম বছরের বাজেট ছিল ১৭৩২ টাকা ১০ আনা! সেই শুরু৷ সময়ের হাত ধরেই ঐতিহ্য পরম্পরায় চলে আসা পৌষ মেলা এবার থেকে তবে কি পাকাপাকি বন্ধ হতে চলেছে? পৌষমেলার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগঘন মানুষগুলোর মধ্যে আপাতত এই নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা৷ সৌজন্যে, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের একটি চিঠি৷

যে চিঠিতে ট্রাস্টের তরফে স্পষ্টভাবে বোলপুর পুরসভাকে জানানো হয়েছে, পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে তাঁদের পক্ষে মেলার আয়োজন করা সম্ভব নয়৷ চাইলে রাজ্য পৌষমেলার আয়োজন করুক৷ এখানে উল্লেখ করা থাক, গত বছর বোলপুরের ডাকবাংলো ময়দানে বোলপুর পুরসভার উদ্যোগে বিকল্প পৌষ মেলার আয়োজন করে ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। ওই মঞ্চের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, বিশ্বভারতী পৌষমেলা না করলে তারাই মেলার আয়োজন করবে। বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করা হবে। সেক্ষেত্রে রবি ঠাকুরের পিতার হাত ধরে চলে আসা পৌষ মেলার ঐতিহ্যে ছেদ পড়তে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন৷

- Advertisement -

বস্তুত, শুরুর দিন থেকে বিশেষ কারণে মাঝে ২ বছরের জন্য এই মেলা বন্ধ হয়। মূলত দাঙ্গা এবং মন্বন্তরের কারণে। ১৯৪৩ সালে মন্বন্তরের জন্য এবং ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে পৌষ মেলা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপরে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা আটিমারির কারণে বন্ধ ছিল পৌষ মেলা। মূলত প্রতি বছর ৭ পৌষ শান্তিনিকেতনে পৌষ উৎসব পালন করা হয়। রবীন্দ্র ঐতিহ্য ও ভাবনা অনুসরণ করেই শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা (Paush Mela) চলেছে বহু বছর ধরে। বাঙালির প্রাণের উৎসব এই পৌষমেলা। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অনমনীয় মনোভাবের জেরে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা এবারেও অনিশ্চয়তার মুখেই পড়ল বলে স্থানীয়দের অভিমত৷ যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কিছু উত্তর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: শিক্ষিত বেকারদের জন্য সু’খবর, ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঢুকল লক্ষাধিক ‘প্রাক্তন’ পরীক্ষার্থী

https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor