Bankura: ‘প্যাকেজ’ ঘোষণাই সার, অনেকের কাছেই এখনও পৌঁছায়নি পুষ্টিকর খাবার

0
34

বাঁকুড়া: ঘোষণা করা হয়েছিল শিশুদের জন্য মিলবে পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু অপুষ্ট শিশুদের জন্য ‘প্যাকেজ’ ঘোষণাই সার! ঘোষণা মত কিছুই হয়নি। মেলেনি কোনও খাবার। অভিযোগ উঠেছে, অধিকাংশ জায়গাতেই অপুষ্ট শিশুদের জন্য পৌঁছায়নি পুষ্টিকর খাবারের সেই বিশেষ প্যাকেজ।

আরও পড়ুন-Forensic team: নদিয়ার হাঁসখালিতে শবযাত্রায় দুর্ঘটনা, এবার তদন্তে ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল

- Advertisement -

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের নারী, শিশু বিকাশ, সমাজ কল্যাণ দফতর এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা বাঁকুড়ার সোনামুখীতে ‘শিশু আলয়ে’র উদ্বোধন করতে আসেন। সেখানে উদ্বোধন করতে এসে পরিসংখ্যান দিয়ে বলে যান যে, এই জেলায় এই মুহূর্তে অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা ১৬৪৭। আর ওই সমস্ত শিশুর জন্য বিশেষ পুষ্টিকর খাবারের ‘ডালা’ পৌঁছে দেওয়া হবে।

কিন্তু রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর ঘোষণাই সার। রীতিমত খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, বাঁকুড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৭ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে একজন ‘অপুষ্ট শিশু’ থাকলেও সরকারীভাবে বরাদ্দ সেই পুষ্টিকর খাবারের বিশেষ প্যাকেজ অর্থাৎ ‘ডালা’ এখনও পৌঁছায়নি। একইসঙ্গে এই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী সোনালী কর্মকার।

আরও পড়ুন-Market price: বাংলায় শীতের আমেজে সস্তা হচ্ছে শাক সবজি, এখনও অগ্নিমূল্য মাছ

এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, কেন্দ্রে গত অগাষ্ট মাসে ওই অপুষ্ট শিশুটিকে চিহ্নিত করণ হয়েছে। চলতি মাসে গত জুলাই মাসের বরাদ্দ খাবার হিসেবে দু’কেজি চাল, দু’কেজি আলু ও তিনশো গ্রাম ডাল দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন বিশেষ প্যাকেজ এখনও তারা পাননি। এবিষয়ে শহরের অন্য একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী অনিতা বাগদীও জানান, কেন্দ্রে একটি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। ওই শিশুটির জন্য অন্য শিশুর মতোই বরাদ্দকৃত চাল, ডাল আর আলু পাচ্ছে। এর বাইরে অন্য কোন পুষ্টিকর খাবারের যোগান নেই বলে তিনি জানান।

স্থানীয় অভিভাবকরাও জানিয়েছেন, বর্তমানে ডিম আর দেওয়া হয় না। যখন সব কিছু স্বাভাবিক ছিল, রান্না করা খাবার দেওয়া হতো তখন ডিম দেওয়া হতো, এখন সে সব বন্ধ। আর চাল, ডাল আলু দেওয়া হলেও তা অনিয়মিত বলেই তারা জানান। রাকেশ মালাকার নামে এক অভিভাবক জানান, তার সন্তান জন্ম থেকেই অপুষ্টিতে ভুগছে। আগে রান্না করা খাবার আর ডিম মিললেও করোনাকালে সে বন্ধ। সরকারীভাবে কোন সহায়তা না পেয়ে তিনি নিজের মতো করে শিশুর পুষ্টি যোগানের চেষ্টা করছেন বলে জানান।

আরও পড়ুন-Heavy rain: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা, ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশসহ একাধিক রাজ্যে সতর্কতা জারি

এপ্রসঙ্গে স্থানীয় সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, “অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। এই ঘটনার পিছনে মিড ডে মিলের পরিবেশন ব্যবস্থা নিশ্চয়ই সঠিক ছিল না। সর্বশিক্ষা ও মিড ডে মিল খাতে কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দের বাইরে অনেক সময় বেশী অর্থ দিয়েছে।” প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ ও অভিভাবকদের খোঁজ খবর রাখার অনুরোধ জানান তিনি।