বাঙালির অধিকারের দাবিতে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ বাংলাপক্ষের

0
783

দুর্গাপুর: বাঙালিদের অধিকারের দাবিতে এবং বাঙালিদের বঞ্চনার প্রতিবাদে পথে নামল বাংলাপক্ষ। সেই সঙ্গে বাঙালির আইকন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহিরাগত বলা নিয়েও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-র বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখায় ভারতে বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন। করোনা আবহের মাঝেই করা হল মশাল মিছিল এবং সমাবেশ।

আরও পড়ুন- চিকিৎসকদের মধ্যে বাড়ছে সংক্রমণ, উদ্বিগ্ন আইএমএ-র চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রকে

- Advertisement -

রবিবার বিকেলের দিকে ওই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে। ওই জেলার আসানসোল এবং দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবাঙালি মানুষের আধিক্য রয়েছে। সেখানের নানাবিধ শিল্পের সঙ্গে কর্মীরা ভিনরাজ্য বিহার থেকে আগত। শ্রমিকদের মধ্যেকার প্রায় সকলেই অবাঙালি। সেখানে বিভিন্ন সময়ে বঞ্চনার শিকার হতে হয় বাঙালিকে। সেই সঙ্গে নিজের রাজ্যে থেকেও যথোপযুক্ত কাজ মেলে না বাঙালি চাকরি প্রার্থীদের।

এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছে বাংলাপক্ষ। বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট সভা-সমিতি করে তুলে ধরেছে বাঙালির দাবি। সেই একই দাবি নিয়ে ওই দিন বিক্ষোভ দেখায় বাংলাপক্ষের দুর্গাপুর শাখা। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে সকল প্রকারের চাকরির ক্ষেত্রে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে আওয়াজ তোলে ওই সংগঠনটি। সেই সঙ্গে বাঙালির প্রতি ক্রমবর্ধমান অবমাননার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলে বাংলাপক্ষ।

আরও পড়ুন- ‘সেপটিক শকে’ প্রণব মুখোপাধ্যায়, শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি

সেই সঙ্গে ছিল বোলপুরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ। দিন কয়েক আগে শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ ঘটে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকেও কাঠগড়ায় তুলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই নিয়েই বিশ্বভারতীর সরকারি ওয়েবসাইটে বিশেষ বার্তালাপ করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

সেই বার্তালাপে বিশ্বভারতীতে কয়েক পুরুষ ধরে বাস করা মানুষেরা বাইরে থেকে আসা কর্মী, আধিকারিকদের বিচ্ছিন্ন করে রাখার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন উপাচার্য। এই প্রসঙ্গেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ বলে উল্লেখ করেন বিদ্যুতবাবু। তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ নিজে বহিরাগত ছিলেন। তিনি যদি এই অঞ্চল পছন্দ না করতেন তবে বিশ্বভারতী এখানে বিকশিত হত না। এ ছাড়াও গুরুদেব, তাঁর সহকর্মীরা, যাঁরা বিশ্বভারতীকে জ্ঞান, সৃষ্টি এবং বিস্তারের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করেছিলেন, তাঁরা সকলেই বোলপুরের বাইরে থেকে এসেছিলেন।”

আরও পড়ুন- অনলাইন ক্লাসের জন্য আদিবাসী পড়ুয়াদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিলেন বিজেপি নেতারা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহিরাগত বলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে একাধিক সংগঠন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখেও সেই একই কথা শোনা গিয়েছে। যা নিয়ে সরব হয়েছিল বাংলাপক্ষ। বাঙালির প্রিয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহিরাগত বলা নিয়েও ওই দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাপক্ষ। করা হয় সুবিশাল মশাল মিছিল। সেই সঙ্গে বাংলাপক্ষের তরফে একটি পথসভার আয়োজন করা হয় দুর্গাপুরে।