গ্রেফতার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন পুরপ্রধান

0
33

নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিয়া: হাইকোর্টের রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ৷ একাধিক দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ তথা হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল আদককে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ। হাইকোর্টের রক্ষাকবচ উঠে যেতেই তৎপর পুলিশ প্রশাসন।

শনিবার গভীর রাতে শ্যামল আদককে গ্রেফতার করে হলদিয়া মহাকুমা সুতাহাটা থানার পুলিশ। ২৯ সেপ্টেম্বর হলদিয়া সুতাহাটা থানায় একাধিক টেন্ডার দুর্নীতি অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার পর থেকে ফেরার হয়ে যায় শ্যামল আদক৷ রবিবার অভিযুক্তকে হলদিয়া মহাকুমা আদালতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে হেফাজতে চেয়ে আপিল করা হয়েছে বলে এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

- Advertisement -

সূত্রের খবর, তৎকালীন পুরপ্রধান থাকাকালীন একাধিক টেন্ডার দুর্নীতি অভিযোগ উঠে শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে। একাধিক টেন্ডার আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ২৯ সেপ্টেম্বর হলদিয়া সুতাহাটা থানায় একাধিক টেন্ডার দুর্নীতি অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় তাঁর নামে। মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশের নির্দেশে সুতাহাটা থানার পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে আবারও ফেরার হয়ে যায় অভিযুক্ত শ্যামল আদক। হলদিয়া মহকুমার পুলিশের উদ্যোগে ৭ অক্টোবর হলদিয়া পুরসভা থেকে সেই সময়ের নথি সংগ্রহ করে। গত ১৫ অক্টোবর শ্যামল আদকের নামে হলদিয়া মহকুমার আদালতে পক্ষ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত হুলিয়া জারি করেন। তারপরে ফের পলাতক ছিল শ্যামক আদক।

তদন্তের জন্য জেলা পুলিশের নির্দেশ একটি কমিটি গঠন করা হয়। অভিযুক্ত শ্যামল আদক দিল্লির এক সাংসদের বাড়িতে রয়েছেন। রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী দল দিল্লি পৌঁছায়। দিল্লির পুলিশ রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কোনো সহযোগিতা করছে না বলেই রাজ্য পুলিশের অভিযোগ। হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল আদক তিনি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন আগাম জামিনের জন্য।

পরবর্তীকালে হলদিয়া মহকুমার আদালত থেকে হলদিয়া কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা স্থানান্তরিত হয়। কলকাতা হাইকোর্ট শ্যামল আদককে রক্ষাকবচ দেন। আদালত নির্দেশ দেন তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। রক্ষাকবচ দিয়ে দুর্গাচক থানায় হাজিরা দিতে আসেন শ্যামল আদক। রক্ষাকবজ উঠে যাওয়ার পর শনিবার গভীর রাতে অভিযুক্ত শ্যামল আদককে গ্রেফতার করে।

যদিও শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদককে গ্রেফতারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিজেপি ও তৃণমূলের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার থেকে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।