নিজস্ব সংবাদদাতা, ভাঙড়: তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) সাত জন৷ প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের৷ ধৃতরা ভাঙড়ের বাসিন্দা৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোনের লোকেশন ও সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেফতার করেছে৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সাবির মোল্লা (২৯), রশিদ আলী মোল্লা (৩৯), আশিক মিস্ত্রি (২৭), রাকেশ মণ্ডল (২৬), মন্টু শেখ (৩৬), আব্দুর রহমান (৪৩), আসাদুর রহমান মোল্লা (৪২)৷ ধৃতদের মধ্যে একটি গোষ্ঠী তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীর। এবং বাকিরা প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির লোকজন৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামের তৃণমূল নেতা ফজলে করিমের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়৷ গুলির শব্দে নিজেও ভয়ে পেয়ে যান তিনি৷ তাই তিনি নিজের প্রাণ বাঁচাতে রাতে বাড়ির বাইরে বের হননি তৃণমূল নেতা। বুধবার সকালে দেখতে পান দরজা, জানলা সহ ঘরের ভিতরে খাটের একাধিক জায়গায় রয়েছে গুলির দাগ৷
খবর দেওয়া হয় ভাঙড় থানায়৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী৷ উদ্ধার করে গুলির খোল সহ তাজা বোমা৷ নিষ্ক্রিয় করা হয় বোমাগুলি৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করে ভাঙড় থানার পুলিশ৷ বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন৷ এমনটাই দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা ফজলে করিম৷
তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি অভিযোগ করেছিলেন, ব্লক সভাপতি কাইজার আহমেদের নির্দেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন কাইজার। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। তাছাড়া পাওয়ার লোকেশন ট্যাপ করে সাত জনের নাম জানতে পারে পুলিশ।
এরপর শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় সাত জনকে। এদিন ধৃতদেরকে পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত এখনও চলেছে। কিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল, ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি আরও কারা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
