তৃণমূলের পাটি অফিসে বোমাবাজি-ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপির বিরুধে

0
50

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: ফের উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর। বোমাবাজি, ভাঙচুর ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে উওাল। তৃণমূলের পাটি অফিসের বোমা ও বন্দুক মজুত রাখার অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুধে। ঘটনাটি ঘটছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

জানা গিয়েছে, আহত পুলিশ কর্মীদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিজেপি।

- Advertisement -

এবিষয়ে বিজেপি অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি তৃণমূলের দলীয় অফিস রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই অফিসের তৃনমূল কর্মীরা বোমা ও বন্দুক মজুত করে রেখেছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে এলাকায় বাসিন্দা ওই তৃণমূলের পাটি অফিসের চড়াও হয়।

আরও জানা গিয়েছে, পার্টি অফিস ভাঙচুর পাশাপাশি টেবিল ফ্যান, আসবাবপত্র সহ দামী জিনিস পথে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এলাকায় তমুল বোমাবাজি করা হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এরপর এই ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় পটাশপুর থানার পুলিশ। পুলিশের সামনে বোমাবাজি করা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পাশাপাশি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়। ফলে ঘটনার বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী গুরত্বর জখম হয়। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এবিষয়ে এলাকায় বিজেপি নেতা মোহনলাল সী বললেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের দলের কোন কর্মী যুক্ত নয়। তৃণমূলের দলীয় পাটি অফিসের বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম চলতো। এনিয়ে একাধিকবার পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সাধারণ মানুষের রাগের বহিঃপ্রকাশ। পুলিশ তৃণমূলের পাটি অফিস থেকে কয়েক বস্তা বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। উল্টো বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো চেষ্টা করেছে পুলিশ”।

পটাশপুরে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মৃনালকান্তি দাস বললেন, “তৃণমূলের দলীয় পাটি অফিসের বিজেপি কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এসে হামলা চালায়। পাশাপাশি বোমাবাজি করে। পার্টি অফিসের আঙ্গুন লাগিয়ে দেয়। এমনকি পুলিশের উপর হামলা চালায়। হামলার পটাশপুর থানার ওসি সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ বিষয়টি জানিয়েছি আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। বিজেপি অভিযোগ পুরোপুরি ভিওিহীন”। যদিও পটাশপুর ওসি ও কাঁথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে একাধিকবার ফোন করা হলে ফোন ধরেননি। তাই কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।