চাঁচল: ভোট পরবর্তীতে আবারও প্রকাশ্যে এল কাটমানির ঘটনা। ১০ হাজার টাকা কাটমানি না দেওয়াই মিলল না সরকারি আবাস যোজনার ঘর। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সরব হলেন এক ব্যক্তি। এমনকি, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই উপভোক্তা। অন্যদিকে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃনমূল সদস্যা রুপসানা খাতুন।
কেউ অন্যায় করলে দল পাশে দাঁড়াবে না দাবি ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তোপ দেগেছে বিজেপি। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক।
মালদার চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হারিয়ান গ্রামের বাসিন্দা বারেক আলী দাবি করেছেন , বছরখানেক আগে সরকারি আবাস যোজনার তালিকায় তার নাম নথিভুক্ত ছিল। সেই তালিকা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। অভিযোগ ওঠে, সেই সময় ওই এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা রুপসানা খাতুন তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা কাটমানি দাবি করেন । দিনমজুর বারেক সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর বারবার পঞ্চায়েত দফতরে ঘোরাঘুরি করলেও টাকা মেলেনি।
এদিকে, সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন তার বাড়ির টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এরপরই ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা রুপসানা খাতুন। তিনি বলেন, টাকা চাওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা ভিত্তিহীন। ওই ব্যক্তি যাতে ঘরের টাকা পান সেই কারণে তিনি পঞ্চায়েত থেকে বিডিও অফিসের বারবার আবেদন জানিয়েছেন ।
আর ও পড়ুন: চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু পাইলট প্রজেক্ট ‘দুয়ারে রেশন’
এই ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। চাঁচোল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, কারো বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে, দল পাশে থাকবে না।
এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির মালদা জেলার যুব মোর্চার সভাপতি সুমিত সরকার বলেন,তৃণমূলের কাটমানি খাওয়াতো নতুন কিছু নয় কাটমানি শব্দটির সঙ্গে তৃণমূল ভালোভাবে পরিচিত। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই তৃণমূলকে কাঠ মানি না দিলে কাজ হয় না। যদিও এই বিষয়ে চাঁচল ১নম্বর ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য আশ্বাস দিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
