পারিবারিক বিবাদের জেরে শাবল দিয়ে খুন যুবককে, গ্রেফতার অভিযুক্ত

0
85

এগরা: পারিবারিক বিবাদের জের। উত্তেজিত অবস্থায় প্রতিবেশী এক যুবকের শাবল দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল আরেক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের হুড়কুচিয়া গ্রামে।

আরও পড়ুন : সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, ছেলে-বউমা ও দুই নাতনিকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারল ৮৯ বছরের বাবা

- Advertisement -

জানা গিয়েছে, এগরা ২ ব্লকের দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের হুড়কুচিয়া গ্রামের দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক সমস্যা ছিল দীর্ঘদিনের। শুক্রবার গভীর রাতে সঞ্জয় গাড়ু ও স্বপন বর দুই পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয়।এরপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই পরিবারের সদস্যরা। উত্তেজিত অবস্থায় স্বপন নামে ওই যুবক বাড়ি থেকে একটি শাবল নিয়ে এসে সঞ্জয়ের ওপর আঘাত করে।

রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সঞ্জয়। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় সঞ্জয়কে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসক সঞ্জয় গাড়ুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এগরা থানার পুলিশ। শনিবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যে মৃত যুবকের স্ত্রী অষ্টমী গাড়ু এগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।রবিবার অভিযুক্তকে কাঁথি আদালতে পাঠানো হবে। এমনটাই এগরা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে

এগরা থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। যদিও তদন্তের কারণে বেশি কিছু তথ্য জানাতে রাজি হননি তিনি। ‘

এগরা ২ ব্লকের দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আলোক মহাপাত্র বলেন, ‘খুবই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাই। আগামী দিনে মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি অভিযুক্ত যুবকের কঠোরতম শাস্তি করেন। যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। “