১৯৩০-২০২২: ফিফা বিশ্বকাপের বল ইতিহাস

0
70

শান্তি রায়চৌধুরী: ২১ নভেম্বর ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ নামে খ্যাত সবচেয়ে বড় ফুটবল আসর বিশ্বকাপ শুরু হবে কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে। সেদিন মুখোমুখি হবে সেনেগাল এবং নেদারল্যান্ডস। এবারের বিশ্বকাপটি ২২তম আসর।

খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

- Advertisement -

এবারের আসরে বিশ্বের সেরা ফুটবলাররা খেলবেন ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের তৈরি আল রিহলা বল দিয়ে। এই বলের ডিজাইনটি কাতারের সংস্কৃতি, স্থাপনা, ঐতিহ্যবাহী নৌকা ও পতাকা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করা। আসুন এবারে পরিচিত হই ১৯৩০ -এর উরুগুয়ে বিশ্বকাপ থেকে ২০২২ -এর কাতার বিশ্বকাপের বলগুলির সঙ্গে।

১৯৭০ বিশ্বকাপ থেকে শুরু অফিসিয়াল ম্যাচ বল:

বিশ্বকাপে অফিসিয়াল ম্যাচ বল ফিফা ব্যবহার করে আসছে ১৯৭০ সাল থেকে। তখনই ফিফার সঙ্গে চুক্তি করে ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। এরপর থেকে অ্যাডিডাস ফিফার প্রতিটি আসরেই বল সরবরাহ করে করছে।

১৯৭০ সালের আগে পর্যন্ত বল সরবরাহ করত স্বাগতিক দেশ:

১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিল উরুগুয়েতে। সেবার খেলা হয়েছিল ‘টি-মডেল’ বল দিয়ে। ১৯৩৪ ইতালি বিশ্বকাপে খেলা হয়েছে ‘ফেদেরালে ১০২’ বল দিয়ে। ১৯৩৮ সালে ফ্রান্সে বসেছিল পরের আসর। এই বিশ্বকাপে খেলা হয়েছিল ‘অ্যালেন’ বল দিয়ে। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ বসেছিল ব্রাজিলে। এই আসর থেকে পুরোপুরি চামড়ার বলে খেলা শুরু হয়। তার নাম ছিল ‘দুপলো টি’ বল।

১৯৫৪ সালে সুইজারল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপে ‘সুইস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন’ বল দিয়ে খেলা হয়। ১৯৫৮ সুইডেনে হওয়া বিশ্বকাপের বলের নাম ‘ টপ স্টার’। ১৯৬২ -র চিলির আসরের বলের নাম ‘ক্র্যাক’। ১৯৬৬ -র ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের বলের নাম ছিল ‘স্লাজেঙ্গার চ্যালেঞ্জ’।

এর পরের বিশ্বকাপ থেকে আসে অ্যাডিডাস সংস্থার বল। ১৯৭০ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে অ্যাডিডাস পরিচয় করিয়ে দেয় ‘টেলস্টার’ বলের সঙ্গে। যেটিতে প্রথমবারের মতো সাদা ও কালো রংয়ের মিশ্রণ ছিল। বলটির সেই ডিজাইন ফুটবল ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে আছে। ১৯৭৪’র জার্মানির আসরেও একই ডিজাইনের বল ব্যবহার করা হয়। যার নাম ছিল ‘টেলস্টার ড্যুরলাস্ট’।

১৯৭৮ আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ খেলা হয়েছে ‘ট্যাঙ্গো’ বল দিয়ে। সেটি ছিল শেষবারের মতো চামড়ার বলের বিশ্বকাপ। ১৯৮২ স্পেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের আসরে খেলা হয় ‘এসপানা ট্যাঙ্গো’ বল দিয়ে। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপের বল ছিল ‘অ্যাজটেকা’। ১৯৯০ বিশ্বকাপের ইতালির এতরাস্কেম সভ্যতাকে সম্মান জানিয়ে বলের নাম রাখা হয় ‘এতরাস্কো ইউনিকো’।

আরও পড়ুন: শুকনো রুটি আর জল মেশানো দুধ খেয়ে উঠে এসেছেন এই তারকা

১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘কোয়েস্ত্রা’। ১৯৯৮ সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপ আসরে প্রথমবারের মতো বলে দেখা যায় তিন রংয়ের সমাহার। যার নাম দেয়া হয় ‘ট্রাইকালার’। ২০০২ সালে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপের বলের নাম ছিল ‘ফিবারনোভা’। ২০০৬ সালে জার্মানির আসরের বলের নাম ছিল ‘টিমগাইস্ট’। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা হয়েছিল ‘জাবুলানি’ বল দিয়ে। ২০১৪ সালে ব্রাজিলে খেলা হয় ‘ব্রাজুকা’ বল দিয়ে। আর সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ফিরিয়ে আনা হয় ১৯৭০ সালের ‘টেলস্টারকে’। ডিজাইনে সামান্য পরিবর্তন এনে বলের নাম দেয়া হয় ‘টেলস্টার ১৮’।

আর এবার ২০২২ -এর কাতার বিশ্বকাপের বলের নাম ‘আল রিহলা’। যার বাংলা অর্থ যাত্রা। অ্যাডিডাসের ডিজাইন বিভাগের প্রধান ফ্রান্সিসকো লোফেনমান জানিয়েছেন এই বলটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাতাসে সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন। পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এ বল। বলটি উন্মোচন করেন অ্যাডিডাসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর লিওনেল মেসি।