‘ইসলাম বিরোধী’, তালিবান শাসনে আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ আইপিএল সম্প্রচার

তালিবানরা খেলাধুলা সহ বেশিরভাগ বিনোদন নিষিদ্ধ করেছে। সেই সঙ্গে মহিলাদের খেলাধুলাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।

0
191
IPL earns more than English Premier League, claims BCCI President Sourav Ganguly

খাস খবর ডেস্ক: আফগানিস্তানে আইপিএল ফ্যানসদের জন্য খারাপ খবর। আইপিএলে কেমন খেলছেন আফগান তারকা স্পিনার রশিদ খান? তা জানতে পারবেন না সেখানকার দর্শকরা। কারণ তালিবানি শাসনে আফগানিস্তানে আইপিএল সম্প্রচার নিষিদ্ধ। রবিবার ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাই সুপার কিংস এবং ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচ দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল ২০২১ পুনরায় শুরু হয়েছে। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব আফগানিস্তানে দেখানো হবে না।

এর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে আইপিএলের সময় প্রচারিত হতে পারে ‘ইসলাম বিরোধী বিষয়বস্তু’। আফগানিস্তানে তালিবানদের দখলের কারণে একাধিক বিষয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আফগানিস্তানের রশিদ খান, মহম্মদ নবী এবং মুজিব উর রহমানের মতো ক্রিকেটাররা ২০২১ সালের আইপিএলে অংশ নিচ্ছেন। তালিবানরা খেলাধুলা সহ বেশিরভাগ বিনোদন নিষিদ্ধ করেছে। সেই সঙ্গে মহিলাদের খেলাধুলাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।

- Advertisement -

আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপনের পর্দায় নীরজের অভিনয় দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন মিডিয়া ম্যানেজার এবং সাংবাদিক এম ইব্রাহিম মোমন্দ একটি টুইটে বলেছেন যে, “সম্ভাব্য ইসলাম বিরোধী বিষয়বস্তু, মেয়েদের নাচ এবং ইসলামে নিষিদ্ধ চুল খুলে, খোলামেলা পোশাকে মহিলাদের উপস্থিতির কারণে আইপিএল সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।” শরিয়ত আইন অনুযায়ী এই সব কিছুই আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ। বলা বাহুল্য, আইপিএলের চিয়ার লিডারসদের বেশ খোলামেলা পোশাকেই দেখা যায়, দর্শকাসনেও থাকেন মহিলারা। যা তালিবানি শাসনে আফগানিস্তানে একেবারেই নিষিদ্ধ। যদিও ইসলামপন্থী তালিবানরা আগেই জানিয়েছে যে তারা পুরুষদের ক্রিকেট নিয়ে কোনও রকম আপত্তি করবে না। তবে আফগানিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

আরও পড়ুন: BREAKING: আরসিবির অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বিরাট

টেস্ট ক্রিকেটে আফগানিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নারীদের অপমান মেনে নেবে না পশ্চিমী দেশগুলি। এর জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে নভেম্বরে আফগানিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফর। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, তালিবানরা আফগানিস্তানের মহিলা ক্রিকেটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে পুরুষ দলের সঙ্গেও কোনও সিরিজ খেলবে না তারা। আফগানিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম ক্রিকেটীয় সম্পর্ক রাখতে চায় না বলেই জানিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, দেশের একটি সক্রিয় মহিলা দলও থাকতে হবে।