পৃথিবীর খুব কাছেই রয়েছে জোড়া ব্ল্যাক হোল, গিলে খেতে পারে গোটা সৌরজগতকে

0
84

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: এই মহাবিশ্বের সবথেকে রহস্যময় বস্তু হল ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহবর। সবথেকে ভয়ঙ্কর বস্তু-ও বটে। বাংলায় একটি কথা রয়েছে। কালের গর্ভ। ব্ল্যাক হোল আদতে তা-ই। ব্ল্যাক হোলে কাল অর্থাৎ সময় থমকে যায়। এমনকি এই ব্রহ্মাণ্ডে সবথেকে দ্রুতগতি সম্পন্ন আলো-ও ছাড় পায় না ব্ল্যাক হোলের করাল গ্রাস থেকে। আলোকে-ও গিলে খায় এই ব্ল্যাক হোল।

আরও পড়ুন: কিং কোবরা থেকে গোখরো, গরমে বাড়ছে সাপের উপদ্রব

- Advertisement -

এবারে পৃথিবীর খুব কাছেই সন্ধান মিলল একজোড়া ব্ল্যাক হোলের। যা স্বভাবতই চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে বিজ্ঞান মহলে। আমাদের এই মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে-ই অবস্থান করছে এই দুই দৈত্যাকার কৃষ্ণ গহ্বর। এর মধ্যে একটি পৃথিবী থেকে মাত্র ১৫ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। মহাজাগতিক হিসেবে যে দূরত্ব কিছুই নয়।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুটি ব্ল্যাক হোল-ই সূর্যের তুলনায় ৯ থেকে ১০ গুণ বড়। অর্থাৎ সূর্য-পৃথিবীসহ গোটা সৌরজগতকে গিলে খাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই দুটি কৃষ্ণগহ্বরের নাম দেওয়া হয়েছে Gaia BH1 এবং Gaia BH2। Gaia BH1 থেকে পৃথিবীর দূরত্ব মাত্র ১৫ আলোকবর্ষ। শুধু তাই নয়। এর আগে বিজ্ঞানীরা একটি দৈত্যাকার কৃষ্ণ গহ্বরের সন্ধান পেয়েছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, সেটিই বৃহত্তম কৃষ্ণ গহ্বর। কিন্তু Gaia BH1 তার থেকেও ৩ গুণ বড়।

খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

অন্যদিকে Gaia BH2 অবশ্য অনেকটাই দূরে অবস্থান করছে আমাদের থেকে। প্রায় ৩,৮০০ আলোকবর্ষ দূরে সেন্টোরাস নক্ষত্রমণ্ডলের পাশে অবস্থান করছে এই কৃষ্ণ গহ্বরটি। তবে বিজ্ঞানীরা তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন একটি কথা ভেবে। এই দুই ব্ল্যাক হোলকে এতদিন কেন শনাক্ত করতে পারেনি কেউ? ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির গায়া মিশনের (Gaia Mission) তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে এই দুটি কৃষ্ণ গহ্বরকে খুঁজে পেতে। এদিকে NASA ব্যখ্যা দিচ্ছে, যখন একটি নক্ষত্র কৃষ্ণ গহ্বরের গ্রাসে পড়ে তখন এটি তার পিছনে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছড়িয়ে দেয়। যা দেখে সহজেই একটি ব্ল্যাক হোলকে চিহ্নিত করা সম্ভব। এছাড়া আর কোনওভাবেই ব্ল্যাক হোলকে চিহ্নিত করা সম্ভব নয়।