কর্মীদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল নেত্রী, অভিযুক্ত বিজেপি

0
318

খাস খবর ডেস্ক: গ্রামে আক্রান্ত হচ্ছে দলের কর্মীরা। সেই সকল কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল তৃণমূলের নেত্রীকে। সেই নেত্রীকে বাঁচাতে রিভালভার উচিয়ে গুলি ছুঁড়লেন তাঁর দেহরক্ষী। খুব স্বাভাবিকভাবেই যা ঘিরে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

আরও পড়ুন- তৃণমূলের সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে উত্তরবঙ্গে পৃথক রাজ্যের দাবি জঙ্গি সংগঠনের

- Advertisement -

ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার স্বরূপনগরের তেপুলমির্জাপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই পঞ্চায়েত এলাকার পাড়ুই গ্রামে ভোটের পর থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি। মাঝে মাঝেই হিংসায় লিপ্ত হতে দেখা গিয়েছে যুযুধান দুই গোষ্ঠীকে। যার জেরেই তৃণমূলনেত্রীর উপরে হামলার ঘটনাও ঘটে গিয়েছে।

আরও পড়ুন- করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা মোদীর, ব্রাত্য মমতা

আক্রান্ত তৃণমূল নেত্রীর নাম সঙ্গীতা কর। তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি বলেছেন, “দলীয় কর্মীদের উপরে বিজেপি হামলা চালাচ্ছে খবর পেয়ে পাড়ুই গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছাতেই আমার গাড়ির উপরে হামলা চালায় বিজেপি। ভাঙচুর করা হয়। চালক এবং দেহরক্ষী জখম হয়েছেন।” অভিযোগ উঠেছে যে সেই সময়েই সঙ্গিতাদেবীর দেহরক্ষী গুলি চালায়।

তৃণমূলের ওই নেত্রীর স্বামী নারায়ণচন্দ্র কর ব্লক তৃণমূলের নেতা। তিনি জানিয়েছেন যে পাড়ুই গ্রামে হেরে গিয়েছে বিজেপি। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে হিংসা। তৃণমূলের উপরে নিত্যদিন হামলা চালানো হচ্ছে। সেই খবর পেয়ে পঞ্চায়েত সভাপতি সঙ্গীতা এলাকায় যেতে তাঁকেও আক্রমণের শিকার হতে হয়। যদিও সমগ্র ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল বলে জানিয়েছেন বসিরহাট জেলা বিজেপির সভাপতি তারক ঘোষ।

আরও পড়ুন- বাসে বাঁদরঝোলা যাত্রীরা বলছেন, এভাবে কী করোনা মোকাবিলা হয়

অন্যদিকে, এই ঘটনায় জখম সঙ্গীতাদেবীর গাড়ির চালক এবং দেহরক্ষী অতুল প্রামানিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই অতুলই ঝামেলার সময়ে গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত সভাপতি সঙ্গীতা কর জানিয়েছেন যে শূন্যে গুলি ছুঁড়েছিল অতুল। যদিও পুলিশ তা মানতে নারাজ। পুলিশের বক্তব্য, ভিড় সরাতে বন্দুক দেখিয়েছিলেন অতুল। গুলি চালানোর মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।