দিলীপ-নচিকেতার বৈঠকে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে

0
291

কলকাতা: নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই বহু অভিনেতা, গায়ক ও পরিচালকরা নাম লিখিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিতে৷ আর এই পরিস্থতিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর একটি ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতে দেখা গেল৷

রাজনৈতিক এই জটিল পরিস্থিতিতে ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি ২০২১-এর নির্বাচনের আগে মমতা ঘনিষ্ঠ নচিকেতা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন৷ যদিও এই বিষয়ে গায়ক সেরকম কিছুই বলেননি৷ তবে হ্যাঁ সবটাই শুধু সময়ের অপেক্ষা৷

- Advertisement -

সালটা ১৯৯০৷ সেই সময় থেকে আজও অতিপরিচিত গায়কদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন নচিকেতা চক্রবর্তী৷ তাঁর গানের মধ্যে দিয়ে সমাজের এক একটি অন্যায় প্রতিফলিত হয়েছে৷ তেমনি কখনও স্কুল জীবন বা প্রেমের কাহিনীও ফুটে উঠেছে তাঁর লেখা গানের মধ্যে দিয়ে৷

জানা যায়, সিপিএম-এর সময় তৎকালীন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর খুব কাছের মানুষ ছিল এই গায়ক৷ এরপর সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কাছের হয়ে ওঠেন তিনি৷ কিন্তু তাঁকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখতে পাওয়ায় জল্পনা তুঙ্গে৷

গায়ক নচিকেতা বলেন, ‘‘আমি দিলীপ বাবুর সঙ্গে দেখা করতে যায়নি৷ তিনি নিজেই আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন৷ আমি একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম, সেখানে অনেকেই ছিলেন। হঠাৎ দেখি দিলীপ ঘোষ আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন। তিনি আমার গান পছন্দ করেন। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শে আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু তাতে কী এল-গেল। আমি তো অসভ্য নই। শিষ্টাচার দেখিয়েছি।’’

তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি নেতার সঙ্গে আমার যোগাভ্যাস নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। কারণ আমার কোনও দল নেই, আমার কোনও রং নেই। আমি প্রাইভেট কমিউনিস্ট। উনি আমার গান ভালবাসেন সেই সূত্রেই আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।’’

প্রসঙ্গত, কাটমানি শব্দটায় যখন রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল ছিল ঠিক তখনই গান বেঁধেছিলেন নচিকেতা চক্রবর্তী৷ মুহূর্তের মধ্যে সেই গানটি ভাইরাল হয়ে যায়৷ সেই সময় বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়ো তাঁর সেই গানের প্রশংসা করেছিলেন৷ সেদিন কিন্তু একজন গায়ক হিসেবে নচিকেতার গানটির তারিফ করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু নেটদুনিয়ায় সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে নচিকেতার ছবি ভাইরাল হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি সেইদিন তাঁর গানের প্রশংসার পিছনে বাবুল সুপ্রিয়োর অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল৷