বাবার পাপের শাস্তি মেয়েকে ভোগ করতে হচ্ছে: Adhir Ranjan Chowdhury

0
68
Adhir Chowdhury

কলকাতা ও বোলপুর: মঙ্গলবারই নোটিস ধরিয়েছিল সিবিআই৷ প্রত্যাশিতমতোই বুধবার দুপুরে সুকন্যা মণ্ডলের খোঁজে বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছান তদন্তকারীরা৷ তবে কথা বলতে রাজি হননি অনুব্রত কন্যা৷ আর এতে সুকন্যার কোনও দোষ দেখছেন না কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)৷ অধীরের কথায়, ‘‘সত্যি তো বাবা এমন দুর্নীতি পরায়ণ হলে মেয়ের মানসিক অবস্থা কি করে ভাল থাকবে!’’

খানিক থেমে অধীর যোগ করেছেন, ‘‘বাবার (অনুব্রত মণ্ডল) পাপের শাস্তি মেয়েকে ভোগ করতে হচ্ছ৷ বাবা নিজের দুর্নীতি, চৌর্য সম্পত্তি ঢাকতে মেয়ের নামে সম্পত্তি লিখিয়েছে৷ তারই ফলে আজ নিরীহ মেয়েটাকে তদন্তকারীদের মুখে পড়তে হচ্ছে৷’’ অন্যদিকে অনুব্রতর মেয়েকে সিবিআই জেরা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া সামনে এনেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রমণ করি না৷ তবে চুরির দায় নিতে হবে৷ পাপ নিজের বাপকে ছাড়ে না৷ এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে৷ বাড়তি কিছু বলা ঠিক হবে না৷’’

- Advertisement -

বস্তুত, গরু পাচার মামলায় গত বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ যদিও অনুব্রতের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিশেষ অর্থ পাওয়া যায়নি। তবে এদিনও নতুন করে তাঁর মেয়ের একাধিক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে৷ ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর একই দিনে মেয়ের নামে ১০ টি কোম্পানি তৈরি করা হয়েছিল৷ যে কোম্পানির টাকার অঙ্ক প্রায় কয়েক’শো কোটি৷ স্বভাবতই, রাতারাতি কিভাবে এই কোম্পানিগুলি গজিয়ে উঠল, এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস কি, একজন সামান্য স্কুল টিচার হয়ে সুকন্যা কি করে এত কোটি টাকার মালিক হলেন, এই অর্থের পিছনে অনুব্রতের গরু পাচারের টাকা রয়েছে কি না, সেই বিষয়েও সুকন্যাকে জেরা করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা৷ তবে গোড়াতেই সুকন্যা সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়ে দেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি কোনও কথা বলবেন না৷ কিছু দিন আগে মা মারা গিয়েছেন৷ বাবা হেফাজতে৷ এই মুহূর্তে কথা বলার মতো মানসিক অবস্থায় নেই তিনি৷ ফলে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। তারপরই এমন মন্তব্য সামনে আনেন অধীর (Adhir Ranjan Chowdhury)৷

আরও পড়ুন: ফের অনুব্রতের বাড়িতে সিবিআই, এবার নজরে কন্যা