পিটিয়ে চামড়া তুলে দেওয়ার হুঙ্কার দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার Suvendu Adhikari

0
688

পটাশপুর: আগামী দিনে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের পিটিয়ে চামড়া তুলে দেওয়ার হুংকার দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশি ঘেরাটোপে গাড়িতে বসে শুভেন্দুর দেওয়া ওই হুঁশিয়ারির ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে ওই ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য৷ পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও।

ঘটনার সূত্রপাত, পটাশপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তাপস মাঝি গত কয়েকদিন আগে তৃণমূলীদের মারাত্মক জখম হন। রবিবার বিকেলে তাপস মাঝির বাড়িতে দেখা করতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তাপস মাঝির বাড়ির কিছুটা দূরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। গো ব্যাক শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান তুলতে থাকে। পাশাপাশি ‘চোর চোর চোট্টা শিশিরবাবুর ছেলেটা’ স্লোগান দিতে থাকে।

- Advertisement -

বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় পটাশপুর থানার পুলিশকে। শুভেন্দু অধিকারী নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওরকমে সেখান থেকে তাঁকে বের করিয়ে নিয়ে আসেন। তৃণমূল কংগ্রেস স্লোগানে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গাড়ির ভিতর থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘এইসব করে কিছু লাভ হবে না , সামনে এলে পিটিয়ে পিঠের চামড়া তুলে দেব!’’

বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি পটাশপুরে বিধায়ক উত্তম বারিক। তিনি বলেন, ” ক্ষমতার দম্ভ ও পুলিশের ঘেরাটোপে অনেক কিছু বক্তব্য বলতে পারেন। তিনি সাধারণ মানুষের মতন চলাফেরা করতে পারেন না। পাঁচটা কনভয় ও ৩৫ জন সিআরপিএফ নিয়ে ঘোরাফেরা করেন। শুধু পটাশপুর নয় বিগত দিনে তমলুকেও অনেক কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে অনেককিছু করে বেড়াচ্ছে। মানুষ সবই বুঝে গিয়েছে৷”

প্রসঙ্গত, ৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পটাশপুর ১ ব্লকের ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তাপস মাঝি। ঠিক ওই সময় তাপস মাঝিকে ঘিরে ধরে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা বলে অভিযোগ। তাপসবাবুর বাইক ভাঙচুর করা হয় ও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন তৃনমূল নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পটাশপুর থানার পুলিশ। রক্তাক্ত জখম তাপস মাঝিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

প্রাক্তন নেতাকে মারধরের ঘটনার জনরোষে শিকার বলে দাবি করেন পটাশপুর ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ পণ্ডা। তিনি বলেন ” এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদল কোনভাবেই যুক্ত নয়। তিনি জনরোষের শিকার হয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও ব্লক তৃণমূল নেতা থাকাকালীন এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। তাই এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে চড়াও হয়েছে৷”

আরও পড়ুন: কালীঘাটের নির্দেশেই রাজ্যজুড়ে তোলাবাজির রমরমা ব্যবসা, বিস্ফোরক দাবি Suvendu Adhikari ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতার

আরও পড়ুন: কাঁচা বাদামের পর এবার Viral ঝালমুড়ি, করোনা সচেতনতায় গান বাঁধলেন হকার